অর্থনীতি প্রতিবেদক :
অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ২২তম অধিবেশনে এই আহ্বান জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী।
অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনার লক্ষ্যে সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা গড়ে তোলা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য বিদ্যমান বিশেষ সুবিধাগুলি যেন হঠাৎ তুলে নেওয়া না হয়। বরং তা ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা উচিত, যাতে উন্নয়ন প্রক্রিয়া টেকসই হয়।
রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সামাজিক উদ্যোগ বা ‘সোশ্যাল বিজনেস’-এর গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো খাতে এ ধরনের উদ্যোগ ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে তরুণ প্রজন্মের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘তরুণদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে। তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যবহারে শিক্ষা ও উদীয়মান প্রযুক্তি—বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—খাতে দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।’
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দারিদ্র্য, কার্বন নিঃসরণ ও বৈষম্য—এই তিন শূন্য নীতির ভিত্তিতে একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের প্রতি বাংলাদেশের অটল সমর্থন রয়েছে।