দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। হেড কোচ হান্নান সরকার দেখলেন, বুঝলেন আর জয় করলেন! - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

হেড কোচ হান্নান সরকার দেখলেন, বুঝলেন আর জয় করলেন!


খেলার প্রতিবেদক :

প্রধান কোচ হিসেবে শুরুটা স্বপ্নের মতো হলো হান্নান সরকারের। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ ছেড়ে গত ফেব্রুয়ারিতে আবাহনীর প্রধান কোচ হন। তার অধীনে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সদ্য শেষ হওয়া আসরের শিরোপা জিতেছে ধানমন্ডি পাড়ার ক্লাবটি। হান্নান নিজেও বোধহয় এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতেন না। তাই এখন বলতেই হচ্ছে, হান্নান এলেন, দেখলেন, জয় করলেন।


২০১০ ও ২০১১ সালে লেভেল ওয়ান ও লেভেল টু সম্পন্ন করেন হান্নান। এরপর ডিপিএলের একাধিক দলে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে তাকে। এবারই প্রথমবারের মতো প্রধান কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। শুরুতেই বাজিমাত করে আবাহনীর সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হান্নান, 'আলাদা করে কারোর নাম বলতে চাই না, আমি পুরো দলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। হেড কোচ হিসেবে প্রথমবার কাজ করতে এসেই হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তুলতে পেরেছি, এরচেয়ে বড় সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে! আলহামদুলিল্লাহ। পুরো টুর্নামেন্ট চলাকালীন কাছের মানুষ, ক্রিকেটের মানুষ, শুভাকাঙ্ক্ষী এমনকি সমালোচক, প্রায় সবার থেকেই আবাহনী দলটাকে নিয়ে প্রশংসা শুনেছি। এখনও শুনছি। হয়তো আগামীতেও শুনব। আমার কাছে এটাই প্রাপ্তি।'


নিজের কোচিংয়ের ধরন নিয়ে হান্নান বলেন, 'একেকজন ক্রিকেটারের চিন্তাভাবনা একেকরকম হয়, জীবনযাপনও একেকরকম। কোচ হিসেবে পেশাদার ক্রিকেটারদের আসলে অনেক অনেক কিছু শেখানোর থাকে না। আমার কাছে যেটা জরুরী মনে হয় তা হলো সবাইকে সাথে নিয়ে এক লক্ষ্যে এগোতে পারা নিশ্চিত করা। চিন্তাভাবনা, মানসিকতা বা জীবনযাপনে ভিন্নতা থাকার পরও সবাই যখন একটাই স্বপ্ন দেখে, সবাই যখন সবার সাফল্যটা উদযাপন করে, ব্যর্থতায় চেষ্টা করে পাশে থাকার, এক হয়ে লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলে, তখনই আসলে সাফল্য ধরা দিতে শুরু করে।'


তিনি আরও বলেন, 'আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, একটা ভালো পরিবেশ এগিয়ে নিতে পারে অনেকদূর। সেই পরিবেশটাই তৈরী করা এবং ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটাই আমার মধ্যে ছিল শুরু থেকে শেষ অব্দি। নয়ন, মুন আর অনিক; তিনজনকে আমি একটা ম্যাচও খেলাতে পারিনি। তবুও তাদের যেই পরিমাণ সাপোর্ট ছিল, প্রত্যেক জয়ের পর যেই পরিমাণ আনন্দ দেখেছি তাদের চোখেমুখে; সেটাই বলে দেয় সবাই কতটা এক হতে পেরেছিল। আমি বিশ্বাস করি, তাদের তিনজনকেও যদি কখনো বলেন আফসোস আছে কি না খেলতে না পারার, তারা বলবে, "এতটুকুও না"। যদিও তাদের খেলাতে না পারার আফসোস তো আমার আছেই।'


সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন হান্নান, 'প্রিমিয়ার লিগ শেষ, দল হিসেবে আবাহনীর পথচলাও আপাতত শেষ। প্লেয়ার থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই নতুন কোনো চ্যালেঞ্জে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়বে। শুধু আবাহনীর জন্য না, আপনাদের সবার কাছেই বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের জন্য দোয়া চাই। এই দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক অনেকদূর। আমার পাশে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।'