দূরন্ত বিডি ডটকম --------------------------------স্বাগতম ২০২৪--------------------------- মানবতার কথা বলে ------------------------------------------------------ durontobd.com ‘কোচ হিসেবে এই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না ক্যাবরেরা’ - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

‘কোচ হিসেবে এই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না ক্যাবরেরা’


খেলার প্রতিবেদক :
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর দর্শক-সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেক খেলোয়াড় ও কোচদের কাঠগড়ায় এখন প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সামর্থ্য থাকার পরও ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশ ফুটবল ভক্তরা। অন্তত একটি পয়েন্ট পেলেও কিছুটা সান্ত্বনা থাকতো। ঘরের মাঠে আলোচিত ম্যাচটি হেরেই বসে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।


গত দুই দিনে নানাজন এই ম্যাচ কাঁটাছেঁড়া করেছেন। সবার বিশ্লেষণের সারমর্ম ছিল- কোচের ভুল সিদ্ধান্তেই হতাশার এই হার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে ক্যাবরেরা দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি। এরপর থেকে ৪০ মাস পার হয়ে গেছে। সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী ক্যাবরেরার মেয়াদ আছে আগামী বছর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।


সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিজের চুক্তির মেয়াদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা, যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল এই ম্যাচ হারলে চাকরি হারানোর ভয় আছে কিনা তার!


সাড়ে তিন বছরে ক্যাবরেরার অধীনে বাংলাদেশের পাফরম্যান্স আশা জাগানিয়া কিছু ছিল না। জয়ের হার ২৫ ভাগেরও নিচে। বাংলাদেশের আগে কোনো জাতীয় দল পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছিল না ক্যাবরেরা। ভারতের গোয়া স্পোর্টিং ক্লাব দিয়ে কোচিং (সহকারী কোচ) ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০১৩ সালে। ৮ বছর ক্লাব লেভেলে কোচিং করানো এই ক্যাবরেরাকে বাফুফে বাংলাশে দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়।


ক্যাবরেরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন সে সময়ের বাংলাশে দল আর এখনকার বাংলাশে দল এক নয়। বাংলাদেশ বদলে গেছে অনেক। বিশেষ করে হামজা চৌধুরী, শামিত সোম কিংবা ফাহমিদুল ইসলামের মত ফুটবলার যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের বাজার দরও বেড়ে গেছে। হামজা ও শামিত যে লেভেলে ফুটবল খেলেছেন এবং খেলছেন সেখানে আরো উঁচুমানের কোচের অধীনে অনুশীলন করেন তারা।


শামিতের তো কানাডা জাতীয় দলে দুটি ম্যাচ খেলারও অভিজ্ঞতা আছে। কানাডার মতো দেশের জাতীয় দলে খেলা সাধারণ বিষয় নয়, যে দেশটি এর আগে বিশ্বকাপেও খেলেছে এবং আগামী বিশ্বকাপে খেলবে স্বাগতিক হিসেবে।


বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার হেভিওয়েট দল। হাজমা ও শামিতের মানের ফুটবলার এই অঞ্চলের কোনো দেশে নেই। হামজা-শামিতরা যখন আরো বড় মাপের কোচের অধীনে অনুশীলন করছেন, সেখানে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা কতটা দক্ষ তাদের জন্য? এমন প্রশ্ন করলে জাতীয় দলের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি কোনো রাখঢাক না করেই বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে পরিচালনা করার দক্ষতা বা যোগ্যতা ক্যাবরেরার নেই। তিনি নিজেই সেটা প্রমাণ করেছেন।’


আপনি বলছিলেন হামজা-শামিত যোগ হওয়ায় বাংলাদেশ দলের শক্তি ও কোয়ালিটি বেড়েছে। কতটা বেড়েছে বলে আপনি মনে করেন? ‘ধরুণ আগে যদি ৩০ থাকে এখন তার দ্বিগুণ’-বলেছেন এমিলি।


বাংলাদেশ দলের শক্তি বেড়েছে, মর্যাদা বেড়েছে, বাজারমূল্যও বেড়েছে। কিন্তু কোচ তো সেই ক্যাবরেরাই আছেন। এই দলের সাথে এই কোচ কি যায়? ‘এবার যখন তার মেয়াদ শেষ হয়েছিল তখন ধারণা ছিল আর নবায়ন করবে না বাফুফে। কারণ, এই কোচ কিছুই করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে মালদ্বীপের কাছে হারটা ছিল চরম হতাশার। তারপরও বাফুফে হয়তো মনে করেছিল নতুনভাবে পরিকল্পনা করে দলটিকে তৈরি করতে পারবেন ক্যাবরেরা; কিন্তু পারেননি। দলটাকে ঠিকমতো নার্সিংই করতে পারেননি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে একজন জেনুইন স্ট্রাইকার বের করে আনতে পারেননি তিনি’- বলেছেন সাবেক এই স্ট্রাইকার।


ক্যাবরেরা যে লো-কোয়ালিটর কোচ, তিনি যে প্রতিপক্ষকে রিড করতে পারেন না সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ বিশ্লেষণ করে সেই বর্ণনা দিয়েছেন এমিলি। তার মতে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষ্যে ম্যাচের শুরুতেই ভুল করেছেন একাদশ গঠণের মাধ্যমে।