ইসরায়েলে ৪০টিরও বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। এর মধ্যে একটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি দোতলা ভবনে আঘাত হেনেছে, বাকিগুলোকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে ইসরায়েলের স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ৪০টি ইরানি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। শনিবার সকালে একটি ড্রোন উত্তরাঞ্চলীয় বেইট শে-আন শহরের একটি ভবনে আঘাত হানে আর আরেকটি দক্ষিণাঞ্চলে একটি মহাসড়কের কাছে খোলা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায়।
দেশটির জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড আদম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরপূর্বাঞ্চলে জর্ডানের সীমান্তের কাছে বেইট শে-আন উপত্যকায় আঘাত হানা ড্রোনে ওই ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন, ভবনটির পাশে ড্রোনের বিস্ফোরকের ধাক্কায় সৃষ্ট বিশাল একটি গর্ত দেখা গেছে আর সেখান থেকে প্রচুর মাটি চারপাশে ছিটকে পড়েছে। ওই গর্তের পাশে ভবনটির দেয়াল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
মেগান ডেভিড জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী দলগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর কেউ আহত হয়েছে এমনটি দেখেনি।
ইসরায়েলের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৩ জুন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৫০টিরও বেশি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৪০০ ড্রোন ধ্বংস করেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্ত জাতীয় সরকারি ডিপ্লোমেসি ডিরেক্টরেট স্বীকার করেছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে ইসরায়েলের ৫০টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আল আরাবিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলে যে এলাকাগুলোতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তা সামরিক বাহিনীর কঠোর সেন্সরশিপ নিয়মের আওতায় থাকছে। এসব এলাকার ঠিক কোথায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে আর তাতে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না।
শুক্রবার ইসরায়েলের হাইফা শহরে এক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১৯ জন আহত হন। নগরীটির বন্দরের পাশে একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের এই বন্দর শহরটি বারবার ইরানি হামলার লক্ষ্য হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইরান ইসরায়েলের আরেক উপকূলীয় শহর তেল আবিব ও দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম শহর বিরসেবায়ও বারবার হামলা চালাচ্ছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এসব হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২৫ জন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।