দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। দেশের বন্যা পরিস্থিতি : অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতি, জকিগঞ্জ তলিয়ে গেছে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Tuesday, 3 June 2025

দেশের বন্যা পরিস্থিতি : অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতি, জকিগঞ্জ তলিয়ে গেছে


জেলার খবর :
সারা দেশে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে। বন্যাপ্রবণ তিন নদীর মধ্যে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজারের মনু নদ পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের নিচু এলাকা বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (৩ জুন) আরও বাড়তে পারে এসব নদ-নদীর পানি।বুধবার (৪ জুন) তিন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সোমবার (২ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ৮ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এছাড়া সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এই তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে।


এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ভাষায় ‘ডাইক’ নামে পরিচিত বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তলিয়ে গেছে জকিগঞ্জ পৌর শহর। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশল দীপক রঞ্জন দাশ।


পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।


এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, দ্বিতীয়য় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে মুহুরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।


পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের ও যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৪ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।


এতে বলা হয়, গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ৫ দিন গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।


জকিগঞ্জ স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে ৩ রাত জেগে পাহারা ও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তারা। ডাইক রক্ষা করতে না পারায় প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে জনপদে। ফলে ক্রমেই প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। 


সোমবার বিকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জকিগঞ্জ উপজেলার ৩টি স্থানে নদীর ডাইক (নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ) ভেঙে হু হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। ডাইক ভেঙে পড়ায় জকিগঞ্জের ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে নদীর তীর প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে জকিগঞ্জ পৌরসভা, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও খলাছড়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ২ থেকে ৩টি ইউনিয়নের ১৫ থেকে ২০টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।