দূরন্ত বিডি ডটকম --------------------------------স্বাগতম ২০২৪--------------------------- মানবতার কথা বলে ------------------------------------------------------ durontobd.com বিভিন্ন কারাগার ভেঙে ও পুড়িয়ে পালিয়ে যায় ২ হাজার ২০০ - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

বিভিন্ন কারাগার ভেঙে ও পুড়িয়ে পালিয়ে যায় ২ হাজার ২০০


ক্রাইম প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার ভেঙে ও পুড়িয়ে প্রায় দুই হাজার ২০০ বন্দি আসামি পালিয়ে যায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কঠিন সময়ে কারাগারের হাল ধরেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।


সেনাবাহিনীর এই চৌকশ কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণের পর কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ থেকে শুরু করে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেন। ধীরে ধীরে গ্রেফতার ও আত্মসমর্পণ হতে থাকে পালিয়ে যাওয়া আসামি। অন্যদিকে কারাগারগুলোতে সংস্কারের কাজ চলতে থাকে। বর্তমানে দেশের সবকয়টি কারাগার সচল রয়েছে এবং কারাগারের সমস্যাগুলোর সমাধানে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ৩১তম বিএমএ লং কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। অসামান্য পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ ও ইন্সট্রাকশনাল অ্যাপয়েন্টমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিং (বিপসট) এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেও (এসএসএফ) সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী এবং কৃতী গলফার। কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদানের আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মহাপরিচালক হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।


কারাগারের বিভিন্ন সংকট, কারাগারের ভেতর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মোবাইলে কথা বলা, ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের সুবিধা দেওয়ার গুঞ্জন, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশন, কারাগারে মাদক, বন্দিদের ভার্চুয়ালি হাজিরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একবটি মিডিয়া হাউজের সাথে কথা বলেছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন।


কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ৫ আগস্টে কারাগারগুলোতে যে ঘটনা ঘটেছিল তা দেশের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। কারাগার ভেঙে বন্দিদের নিয়ে যাওয়া, কারাগার জ্বালিয়ে দেওয়া, কারারক্ষীদের ওপর আক্রমণ, সবকিছু মিলিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ দেখেছে। আমি কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগ দেই ১১ আগস্ট। এসে দেখি আমাদের অনেক স্টাফের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে। 


পালিয়ে না যেতে পারা বন্দিদের মধ্যে ছিল অসন্তোষ। কারণ কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। সে সময় ৬৮টি কারাগারের মধ্যে পাঁচটি কারাগারে বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছিল। বিশৃঙ্খলা হয়েছিল ৬৮টি কারাগারেই। এছাড়া কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও অসন্তোষ ছিল। কারণ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে সুযোগ-সুবিধা ও পদায়নের ক্ষেত্রে। প্রায় ১০ মাস হতে চললো। অনেক সমস্যাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি আমরা।


৫ আগস্ট কারাগার রক্ষা ও বন্দিদের পালাতে বাধা দেওয়ার কারণে ২০২ জন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। তখন ১১৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় কারগারগুলোতে। যে কারাগারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সেগুলো সচল করা হয়েছে। বর্তমানে সব কারাগার সচল এবং সব কারাগারেই বন্দি রয়েছে।


কারা মহাপরিদর্শক আরো বলেন, মূল চ্যালেঞ্জ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। অতীত কৃতকর্মের জন্য আমাদের ডিপার্টমেন্টের ইমেজ খারাপ নজির সৃষ্টি করেছে। আমাদের সম্পর্কে কেউ ভালো বলে না। আমার কাছে এটি বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে। ইমেজ ঠিক করতে গেলে কাজ করে প্রমাণ করতে হবে। ওই জায়গায় কাজ করা হচ্ছে।