জেলার খবর :
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রের ঘর থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বলা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি স্নাইপার রাইফেল।
এদিকে অস্ত্রের ছবি প্রকাশের পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে অস্ত্রটিকে এয়ারগান, কেউবা শুটিং রাইফেল বলছেন।
পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনী রাইফেলটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। অস্ত্রের যে ছবিটি পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া গেছে, তা ইন্টারনেট সার্চে PX120 X3 Minotaur PCP Air Rifle এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এ ধরনের এয়ার রাইফেল সাধারণত বিনোদনমূলক কাজে ব্যবহার হয়। পাশের দেশ ভারতেও এ ধরনের অস্ত্র তৈরি ও বেচাকেনা হয়।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সেনাবাহিনী থেকে হস্তান্তরের পর সেটি (অস্ত্র) আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব, এটি ফায়ারিং আর্মস নাকি এয়ারগান। এরপর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রোববার ভোররাতে কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় সোহান মোল্যা (২৬) নামের এক কলেজছাত্রের ঘর থেকে এই অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। সোহান পুরুলিয়া গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে। তিনি খুলনার একটি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সেনাবাহিনীর বরাতে ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অস্ত্রটি দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকির মুখে ফেলছিলেন সোহান। গোয়েন্দা তৎপরতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নড়াইল ও কালিয়া সেনা ক্যাম্প যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সেনা সদস্যরা আবুল কালাম মোল্যার বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়। এ সময় সোহান মোল্যার ঘরের বিছানার নিচে থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুন বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সোহান ও তার বাবা। তবে তাদেরকে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
