খেলার ডেস্ক
উইম্বলডনের নারী এককে দুজনই প্রথমবারের মতো খেললেন ফাইনালে। তবে ইগা শিওনটেকের ট্রফি কেসে যেখানে পাঁচটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম শোভা পাচ্ছে, সেখানে অ্যামান্ডা অ্যানিসিমোভা প্রথমবারের মতো খেললেন কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে। অবিশ্বাস্যভাবে স্রেফ ৫৭ মিনিটের ম্যাচে ৬-০, ৬-০ গেমে জিতে প্রথমবারের মতো ভেনাস রোজওয়াটার ডিশ নিজের করে নিয়েছেন পোল্যান্ডের অষ্টম বাছাই শিওনটেক। শনিবার ইতিহাসের স্রেফ তৃতীয় নারী খেলোয়াড় হিসেবে ডাবল ব্যাগেলে চ্যাম্পিয়ন হলেন এই ২৪ বছর বয়সী তারকা।
এ নিয়ে টানা ১৮ গেম জিতে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক শিওনটেক, চারবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে ও একবার ইউএস ওপেনে। তার আগে পোল্যান্ডের কোনো নারী খেলোয়াড় উইম্বলডন জয়ের স্বাদ পাননি। গ্র্যান্ড স্ল্যামে ১২০ ম্যাচের মধ্যে এটি তার শততম জয়। এর আগে প্রথমবারের মতো ১৯১১তে উইম্বলডন ফাইনালে ডোরা বুথবিকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারান ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স। পরেরবার ডাবল ব্যাগেল দেখা যায় ১৯৮৮তে, ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে নাতাশা জভরেভকে হারিয়ে সেবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন নারী টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় স্টেফি গ্রাফ। ৩৭ বছর পর এই কীর্তিতে নিজের নামও জুড়ে দিলেন সিওনতেক। প্রথম সেটটি জিততে এই পোলিশ তারকার সময় লাগে স্রেফ ২৫ মিনিট। এই সেটে কেবল ৯ পয়েন্ট জেতা অ্যানিসিমোভা সব মিলিয়ে আনফোর্সড এরর করেন ২৮টি, পাঁচটি করেন ডাবল ফল্ট।
এ নিয়ে সবশেষ আট উইম্বলডনে আট নারী চ্যাম্পিয়ন পেলো অল ইংল্যান্ড ক্লাব। আর ক্যারিয়ারের প্রথম ভেনাস রোজওয়াটার ডিশ জিতে ৩০ লাখ পাউন্ড পেয়েছেন শিওনটেক, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। এমন একপেশে লড়াইয়ে শিরোপা জিতে নেবেন, এমনটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না শিওনটেকের। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘খুবই পরাবাস্তব অনুভূত হচ্ছে। আমার কাছে এটি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরের কিছু। এমনকি আমি এর স্বপ্নও দেখিনি। আগের গ্র্যান্ড স্ল্যামগুলো জিতে আমাকে নিজেকে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেই মনে হতো। তবে তারপরও এমন কিছুর (সহজ জয়) প্রত্যাশা কখনও করিনি।’ নিজের থেকে স্রেফ তিন মাসের ছোট অ্যানিমিসোভাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত, চমৎকার এই দুই সপ্তাহ সে যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি অ্যামান্ডাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তুমি যেভাবে কাজ করেছো তাতে তোমার গর্বিত হওয়া উচিত এবং আমরা আরও অনেক ফাইনাল খেলব বলে আমি আশা করি।’
প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে এমন হারে নিজেকে সামলাতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের ১৩তম বাছাই অ্যানিসিমোভা। চোখের পানি ঝেড়ে ফেলে অবশ্য আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার ঘোষণাই দিলেন তিনি। অ্যানিসিমোভা বলেন, ‘আমি জানি যে আজ বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে আমি পরিশ্রম করে যাব। আশা করি কোনোদিন আবারও এখানে ফিরতে পারব।’