জেলার খবর :
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দীঘিনালা উপজেলার পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত থেকে জেলার প্রধান তিনটি নদী—ফেনী, মাইনি ও চেঙ্গির পানি কমতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ির চেঙ্গি নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় সদর উপজেলার নিচু এলাকাগুলো থেকে পানি সরে গেছে। তবে পানি নামার গতি ধীর হওয়ায় এখনো তলিয়ে আছে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বড় মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালার ছোট মেরুং বাজার এলাকা, সোবহানপুর, চিটাগাং পাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম। দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অন্তত দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার। দীঘিনালার কবাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন, কবাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ২১টি পরিবার পানি নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরেছেন।
দীঘিনালা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অখিল শিকারি বলেন, ‘বড় মেরুং এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পুরোপুরি সড়ক চলাচলের উপযোগী হতে আরও সময় লাগবে। আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছি।’
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় আনসার সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।’