দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাবিরঘরে পাওনার দাবিতে রক্তরাঙা ঝঞ্ঝা - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Monday, 14 July 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাবিরঘরে পাওনার দাবিতে রক্তরাঙা ঝঞ্ঝা


জহির শাহ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
শান্তির সুরে সম্প্রীতির অমর আহ্বান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রাম, যে মাটি একদা গ্রাম্য জীবনের সৌহার্দ্য আর সহাবস্থানের সবুজ সৌরভে মুখরিত ছিল, সেখানে এক তুচ্ছ পাওনা টাকার দাবিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মর্মান্তিক ঘটনায় অন্তত বিশজন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন, যেন শান্তির সেই পবিত্র মাটিতে হঠাৎই অশান্তির কালো ছায়া নেমে এসে হৃদয়ে বেদনার দাগ রেখেছে। 


স্থানীয় মুদি দোকানদার নুর আলমের ৩৩ হাজার টাকার বকেয়া পাওনার ন্যায্য দাবি, যা ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ও তাঁর স্বামী কবির হোসেনের সঙ্গে শনিবার রাতে বাগবিতণ্ডার সূত্রপাত ঘটায়, রোববার দুপুরে অতর্কিত হামলার রূপ নেয়, এবং গ্রামের নির্মল প্রান্তরে রক্তের দাগে রাঙানো এক অপ্রত্যাশিত বিষাদময় অধ্যায়ের জন্ম দেয়। নুর আলমের হৃদয়বিদারী আর্তনাদে ছুটে আসা তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কবির হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আগুন জ্বলে ওঠে, যেখানে লাঠিসোঁটা, ক্রোধের ধ্বনি, আর মানুষের কাতরানি গ্রামের প্রতিটি পথ-প্রান্তরকে কম্পিত করে তুলে। 


এই নৃশংস সংঘাতে নুর আলম, তাঁর পিতা আবদুর রাজ্জাক, মা নুরজাহান বেগম, চাচি রুপা বেগম, এবং কবিরের পক্ষের সোহেল মিয়া ও সুমন আহমেদ রহমানসহ কমপক্ষে বিশজন গুরুতর আহত হয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যেন তাঁদের প্রতিটি ক্ষতচিহ্ন সম্প্রীতির হারানো সুরকে ফিরিয়ে আনার নীরব প্রতিজ্ঞা বহন করছে। নুর আলমের পুত্র সাব্বির আলমের কণ্ঠে বেদনার গভীরতা ফুটে উঠেছে, তিনি ক্ষোভে বলেন, “ন্যায্য পাওনা চাওয়ার অপরাধে আমার বাবা, দাদা, দাদি, চাচির ওপর এমন নির্মম হামলা কেন? আমাদের পরিবার হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, এ কোন ধরনের ন্যায়?” অপরপক্ষে, ইউপি সদস্য বিউটি বেগম হৃদয়ের গভীর থেকে শান্তির সুর তুলে বলেন, “আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবাইকে আপন মনে করি। এই সংঘর্ষ পুরনো মাজার-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উসকে দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামী কবির নুর আলমের বন্ধু ছিলেন, কিন্তু তাঁর চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিচারের কারণে ক্ষোভের জন্ম হয়। আমার দেবর সোহেল ও সুমনও আহত, আমি চাই এই কলহের নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ মীমাংসা।” কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন, তিনি জানান, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 


সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে; এক্স প্ল্যাটফর্মে @DabirVoice লিখেছেন, “ডাবিরঘরের এই সংঘর্ষ আমাদের সকলের জন্য লজ্জার। একটি পাওনা টাকার জন্য এমন রক্তপাত কেন? শান্তি ও সমঝোতা ফিরিয়ে আনুন!” আরেকজন ব্যবহারকারী @GramBangla লিখেছেন, “একটি গ্রামের শান্তি এভাবে নষ্ট হতে পারে না। আমরা চাই ডাবিরঘর আবার তার হারানো সৌহার্দ্য ফিরে পাক।” এই ঘটনা যেন ডাবিরঘরের প্রতিটি হৃদয়ে শান্তি, সমঝোতা, আর সহমর্মিতার বীজ বপন করে, যাতে এই গ্রামের মাটি আবার ফিরে পায় তার হারানো সবুজ শান্তি, এবং প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত হয় একতার অমর সুর, যা বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে সম্প্রীতির সোনালি আলো ছড়াবে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি সৌহার্দ্যময় গ্রামের গল্প বয়ে নিয়ে যাবে।