দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এনসিপি ও হেফাজতের ঐক্যে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Sunday, 13 July 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এনসিপি ও হেফাজতের ঐক্যে


জহির শাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ফুলবাড়িয়া মাদ্রাসা, বিজয়নগর)

ফুলবাড়িয়ার পবিত্র প্রাঙ্গণে ইনসাফের মহাকাব্য: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এনসিপি ও হেফাজতের ঐক্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সুর

                           ------------------------------------------------------------------------------------
যখন ফুলবাড়িয়া মাদ্রাসার পবিত্র মাটিতে ইলমের আলোয় জ্ঞানের সৌরভ ছড়ায়, তখন বিজয়নগরের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আকাশে এক মোহনীয় বিপ্লবের ঝড় উঠেছে, যেখানে ন্যাশনাল কনসাস পার্টি (এনসিপি) ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ‘ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠন ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সভায় একত্রিত হয়ে এক অতুলনীয় ঐক্যের মহাকাব্য রচনা করেছেন। এই সভা কেবল হাতের মিলন নয়, এটি ছিল হৃদয়ের আলিঙ্গন, যেখানে গণতান্ত্রিক সাম্য ও ইসলামি ভাতৃত্বের সুর মিলে এক নতুন সমাজের স্বপ্ন জাগিয়েছে। 


এনসিপির উপজেলা সভাপতি আমীন চৌধুরীর বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত বাণী, “রাষ্ট্র যখন জনগণের শত্রু হয়, তখন প্রতিরোধ ঈমানের দাবি,” উপস্থিত হাজারো মানুষের মনে ইনসাফের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। হেফাজতের নেতা মাওলানা শফিকুল ইসলামের কাব্যিক উচ্চারণ, “আমরা দলের নামে নয়, উম্মাহর কল্যাণে ঐক্য চাই; ন্যায়ের পক্ষে যারা, তারাই আমাদের ভাই,” বিভেদের দেওয়াল ভেঙে একতার পতাকা উড়িয়েছে। সভায় উঠে এসেছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত প্রতিরোধ, যুবসমাজকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা, গ্রামীণ সচেতনতা অভিযান, এবং ইসলামি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের পরিকল্পনা। উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, হেফাজতের আলেম সমাজ, ফুলবাড়িয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যারা সর্বসম্মত ঘোষণায় বলেন, “আমাদের পরিচয় দল নয়, জনগণের অধিকার; আল্লাহর বিধান ও মানুষের কল্যাণে বিজয়নগর হবে ইনসাফের আলোকবর্তিকা।” ২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবের প্রতিধ্বনি বহন করে এই সভা, যেখানে ৭৭ জনেরও বেশি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেম শহীদ হয়েছেন, একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। এনসিপির নেতা মো. আলী হোসেন বলেন, “ফ্যাসিবাদ শুধু রাষ্ট্রে নয়, মনেও বাসা বাঁধে; আমাদের লড়াই প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ইনসাফের আলো জ্বালানো।” 



হেফাজতের মাওলানা আব্দুল হক জোর দিয়ে বলেন, “ইসলাম শান্তি ও সাম্যের ধর্ম; আমাদের যুদ্ধ জুলুমের বিরুদ্ধে, বিদ্বেষের নয়।” এই সভা বিজয়নগরের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যেখানে গণতন্ত্র ও ইনসাফের সুর এক মহাকাব্যিক বিপ্লবের ঘোষণা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে ছড়িয়ে পড়বে, জনগণের জয়গানে মুখরিত হবে, এবং ফ্যাসিবাদের অন্ধকারকে চিরতরে উৎখাত করবে।