দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ফিটনেস টেস্ট পাস-ফেল নির্ধারণের জন্য নয়: ক্রিকেট দলের ট্রেনার - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Tuesday, 12 August 2025

ফিটনেস টেস্ট পাস-ফেল নির্ধারণের জন্য নয়: ক্রিকেট দলের ট্রেনার


খেলার রিপোর্ট :

মিরপুরের শেরে বাংলা ছেড়ে গুলিস্তানে অবস্থিত জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস টার্ফে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপ সামনে রেখে গেল রোববার জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেডির অধীনে ফিটনেস টেস্ট দেন নাহিদ রানা-তাসকিন আহমেদরা।


এ টেস্টের উদ্দেশ্য কী, সেটি জানতে অনেক ক্রিকেটভক্তের মনেই কৌতূহল রয়েছে। এই পরীক্ষায় কি ক্রিকেটারদের পাস-ফেল করানো হয়?


আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমের কাছে ফিটনেস টেস্টের উদ্দেশ্য জানিয়েছেন ট্রেনার নাথান কেডি। তিনি বলেছেন, এই টেস্টের উদ্দেশ্য পাস বা ফেল নির্ধারণ নয়, বরং প্রতিটি খেলোয়াড়ের শারীরিক সক্ষমতার শক্তি ও দুর্বল দিক চিহ্নিত করা। এর ভিত্তিতে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। ক্রিকেট সূচিতে বিরতি পেলে খেলোয়াড়দের একত্রিত করে শারীরিক অনুশীলন করানো হয়।


তিনি আরও জানান, প্রায় পুরো বছরই খেলা চলতে থাকে। অনেক পশ্চিমা দলের মতো দীর্ঘ অফ-সিজন পাওয়া যায় না। তাই ছোট ছোট এই সময়গুলোতে শারীরিক অনুশীলন ও ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হয়।


জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের স্প্রিন্ট টেস্ট এবং টাইম ট্রায়াল নেওয়া হয়েছে। টাইম ট্রায়ালে ১২ জন খেলোয়াড় ব্যক্তিগত সেরা রেকর্ড করেছেন। বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নাহিদের অসাধারণ পারফরম্যান্স। মাত্র ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করেছেন তিনি। এছাড়া শক্তি পরীক্ষায় (স্ট্রেংথ টেস্ট) মোট ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা রেকর্ড হয়েছে, যা দলের অগ্রগতির প্রমাণ।


কেডি জানান, ক্রিকেটারদের ফ্টিনেস টেস্ট নতুন কিছু নয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকেই নিয়মিত এই টেস্ট চলছে। যাতে টাইম ট্রায়াল, শক্তি পরীক্ষা ও স্প্রিন্ট টেস্ট থাকছে। বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়, যারা টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেট খেলছে; শুধু ক্রিকেট দক্ষতা নয়, অ্যাথলেট হিসেবে নিজেদের উন্নত করতেও মনোযোগী তারা।


খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, সূচিতে বিরতি থাকলেও খেলোয়াড়রা শারীরিক অনুশীলনে দায়িত্বশীল। বরং তারা সিরিজ শেষে আরও বেশি অনুশীলন করেছে। লম্বা সিরিজ চলাকালে অতিরিক্ত অনুশীলনের সুযোগ কম থাকে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে খেলোয়াড়রা নিজেদের ক্যাম্পে থেকে নিয়মিত জিম, দৌড় ও কঠোর পরিশ্রম করেছেন।