দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের শ’খানেক সমস্যা খুঁজে পেয়েছে লারা-লয়েডরা - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Tuesday, 12 August 2025

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের শ’খানেক সমস্যা খুঁজে পেয়েছে লারা-লয়েডরা


খেলার ডেস্ক
গেল জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউটের রেকর্ড। লজ্জাজনক এই রেকর্ডের পর সাবেক কিংবদন্তিদের নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছিল ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)।



নীতি নির্ধারক ও কিংবদন্তিদের সমন্বয়ে দুইদিনের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন ডাকে সিডব্লিউআই। সেখানে জানানো হয়, কোন কোন জায়গায় ঘাটতি থাকায় ক্রিকেটে দিনদিন ক্যারিবীয়দের অধঃপতন হচ্ছে এবং সমস্যা থেকে উত্তরণে কীভাবে কাজ করার পরিকল্পনা করছে বোর্ড।



সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সমস্যা কতটা জটিল। কারণ, এক সভাতেই ১০০টি সমস্যার খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় বোর্ড। তবে একসঙ্গে এত সমস্যা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নেই তাদের। গুরুত্বের বিচারে ধীরে ধীরে সামনে এগোতে চায় সিডব্লিউআই।



বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ক্রিস ডেহরিং বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০০টি উন্নতির জায়গা চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি হলো- প্রতিটি স্তরে খেলোয়াড়দের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা, অনুশীলনের পিচ নির্মাণ, দেশীয় টুর্নামেন্টের মান উন্নয়ন এবং দক্ষতার ঘাটতি পূরণ।’



কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা, ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ডেসমন্ড হেইন্স, শিভনারাইন চন্দরপল ও বর্তমান প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামিকে নিয়ে এই সভায় ক্রিকেটের পুনর্জাগরণের জন্য রোডম্যাপ ঠিক করা হলেও তা দ্রুত সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়। যদিও কয়েকটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার একটি হলো- আইসিসির কাছে বিশেষ আর্থিক সহায়তার আবেদন জানানো।



ক্যারিবীয় ক্রিকেটের বড় সমস্যা চিহ্নিত করেছেন লারা। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে পড়েছে তার দল। বর্তমান যুগে শুধু দক্ষতা দিয়ে কাজ হচ্ছে না।



লারা বলেন, ‘আগে দক্ষতাই মুখ্য ছিল। তখন আমরা বিশ্বের সেরা ছিলাম। কিন্তু এখন খেলা বদলেছে; প্রযুক্তি ও অ্যানালিটিক্স এসেছে। অন্য দেশগুলো এসব ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের দ্রুত পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে আমরা প্রতিযোগিতায় ফিরতে পারি।’



ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন লারা। সাবেক এই কিংবদন্তি বলেন, ‘আজকের তরুণরা এবং তাদের পরিবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে বেশি ঝুঁকছে। আমাদের বুঝতে হবে কী তাদের অনুপ্রাণিত করছে এবং সেই অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য সুবিধা আদায় করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা দেশের হয়ে খেলার প্রতি গভীর অনুরাগী। আমাদেরও সেই আবেগ ফিরিয়ে আনতে হবে।’


লারার কথার প্রতি সমর্থন জানিয়ে লয়েড বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি প্রদর্শনী, আর টেস্ট ক্রিকেট সত্যিকার খেলা। খেলোয়াড়রা যখন বিপুল অর্থ পাচ্ছে, তখন তাদের ধরে রাখা কঠিন। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে সঠিক শিক্ষা দিয়ে সেরাদের ধরে রাখা, যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সুস্থ থাকে।’