দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। আমাকে দায়িত্ব দেন, সংস্কার করতে ১ সপ্তাহ লাগবে - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Wednesday, 13 August 2025

আমাকে দায়িত্ব দেন, সংস্কার করতে ১ সপ্তাহ লাগবে

রাজনীতি প্রতিবেদক :
জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সংস্কার করতে এক সপ্তাহ লাগবে। আমার ওপর দায়িত্ব দেন। আপনি যখন আলী রিয়াজ সাহেবকে দায়িত্ব দিছেন, আপনি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে দায়িত্ব দেন। আমি আপনাকে সেটা করে দেখায়া দিব। যদি আমরা দেখাইতে পারি, প্রমাণ করতে পারি, রাস্তা তৈরি করতে পারি, তাহলে তো আপনার কোনো সমস্যা থাকার কথা না। তবু মানুষকে আর বোকা বানাবেন না।’


বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকালে রাজধানী বিজয়নগর সড়কে ‘জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান এবং এর আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এসব কথা বলেন।



তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান করা ছাড়া, বিদেশিদের দ্বারা কোনো পাতানো নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করবে না। কোনো কালো দাগ নিয়ে বিতর্কিত নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে না। প্রয়োজন হলে এদেশের মানুষ আবার জীবন এবং রক্ত দিয়ে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আদায় করবে ইনশাআল্লাহ।



মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘যেই জুলাইয়ের কারণে আপনারা ক্ষমতায় আছেন, সেই জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে হবে। আজকে এই সমাবেশ জামায়াতের করার কথা ছিল না, কিন্তু আমরা এই সমাবেশ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ যারা এই পিআরের পক্ষে নাই, তাদেরকে বলব, নির্বাচন চাইলে পিআরের পক্ষে আসতে হবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।’



এ সময় উপদেষ্টাদের চেয়ারের সমালোচনা করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কথা বলেছিল, তারা সংস্কার করবে। আমি এখন দেখি প্রথম সংস্কারটা করা দরকার ছিল উপদেষ্ঠা ও মন্ত্রীদের চেয়ারগুলোর। ইতিহাস বলে, যারা ওই চেয়ারে বসে, আগে যাই থাকুক না কেন, চেয়ারে বসার পরে আউলা-ঝাউলা হইয়া যায়। চেয়ারগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে, আমাদের দেশের উপদেষ্টাদের বসাইলে কিছুটা হইলে সঠিকভাবে কাজ করতো।’


মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সংস্কার জরুরি। আমাদের সংস্কার কমিশনগুললো মাসের পর মাস সংস্কারে কাজ করেছে, প্রচুর সময় নিয়েছেন। সব কিছুতে ঐক্যমত আনার পরে তারা বলছেন, এটার কোনো আইনি ভিত্তি নাই। তাহলে আইনি ভিত্তি যদি না থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে এই সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে!’



বিএনপির সমালোচনা করে তাহের বলেন, ‘ঠিক আমাদের বন্ধুরা (বিএনপি) বলছে, আমরা পার্লামেন্টে গিয়ে সংস্কার করব। এসব দাবি মেনে নেব। আপনারা যদি পার্লামেন্টে গিয়ে এসব মেনে নেন, বা বাস্তাবায়ন করেন, তাহলে এখন মানতে অসুবিধা কি? এর মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’।’



তাহের বলেন, ‘বিএনপি বলছে আমরা ক্ষমতায় গেলে এটা করব, তাইলে উনারা ক্ষমতায় যাবেন এটা নিশ্চয়তা পাইছেন। ঠিক আছে না? তাইলে ভোটের আগে যদি একটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা পায় তাইলে ইলেকশনটা কেমন হবে? এটা কি বুঝা যায় না? ক্ষমতা দেওয়ার মালিক এই দেশের জনগণ।’



সমাবেশ শেষে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে শুরু নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল মোড়, মার্কাজ মসজিদ হয়ে মৎস ভবন গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।