আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার বাসিন্দাদের জন্য সকল ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত গাজাবাসীর জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, এক্সের এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং অতি ডানপন্থি অধিকার কর্মী লরা লুমার দাবি করেন, গাজার শরণার্থীরা সান ফান্সিসকো এবং হিউস্টন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। এই পোস্টের একদিন পরই এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।
গাজার শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করে লরা আরও বলেন, আমেরিকা ফার্স্ট নীতির মধ্যে কীভাবে ইসলামিক শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হচ্ছে। মিসৌরিতে আরও ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের আগমনের খবর প্রকাশে বেশ কয়েকজন মার্কিন সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্য টেক্সটের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। ফিলিস্তিনিদের প্রবেশকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের জন্য ভিসা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও যথাযথ প্রক্রিয়াগুলো পূর্ণাঙ্গ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে। তবে এর কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, মে মাসে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মোট ৬৪০টি ভিসা অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চিকিৎসার জন্য গাজার বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হতো। যা বর্তমানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এ বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। প্যালেস্টাই চিল্ড্রেন’স রিলিফ ফান্ড (পিসিআরএফ) নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের ফলে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে গাজার শিশুরা। বিশেষ করে যাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।