দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Friday, 5 September 2025

দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন



জহির শাহ্, বিজয়নগর প্রতিনিধি

**মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমিতে রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন**

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির প্রশস্ত ক্লাসরুমে, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, এক উৎসবমুখর আবহে পর্দা উঠল একটি স্বপ্নের নতুন অধ্যায়ের। রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত দর্জি বিজ্ঞানের কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন এক ঝলমলে আলোর রেখা টানল তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ পথে। এই কর্মশালা শুধু দক্ষতার পাঠ নয়, বরং বেকারত্বের অমানিশা দূর করে আত্মনির্ভরতার সোনালি স্বপ্ন বুনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জহির শাহ্ (দূরন্তবিডিডটকম)। তাঁর প্রাণবন্ত বক্তব্যে শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতার মাধ্যমে জীবন গড়ার অফুরন্ত সম্ভাবনার কথা উঠে এল। তিনি বলেন, “শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয়ই তরুণদের হাতে তুলে দিতে পারে স্বনির্ভরতার চাবিকাঠি, যা তাদের জীবনে নিয়ে আসবে আলোর নতুন দিগন্ত।”  


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির প্রধান শিক্ষক জনাব গোলাম মোস্তফা। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রেফারি মোহাইমিনুল আহমেদ। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এল দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ ও অর্থনীতির রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাঁদের বক্তব্যে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বাবলম্বী সমাজ গঠনের স্বপ্ন বুনলেন।  


অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এস.এম নাজির হোসেন রনি, যিনি প্রথম দিনেই শতাধিক শিক্ষার্থীর মনে উৎসাহের সঞ্চার করেন। তিনি পোশাকের কাটিং, সেলাই, এবং কাপড়ের হিসাবের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুললেন। সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে খায়রুল ইসলাম রানা তাঁর দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রশিক্ষণকে আরও সমৃদ্ধ করেন।  


দুই মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা ৪৬টি ভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরির কারুকার্য শিখবেন, যা তাদের হাতে তুলে দেবে আর্থিক স্বাধীনতার সুতো। প্রশিক্ষণ শেষে মেধার ভিত্তিতে সার্টিফিকেট প্রদানের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহের জোয়ার এনেছে।  


উপস্থিত সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন, এই উদ্যোগ শুধু দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যম নয়, বরং বেকারত্ব দূরীকরণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মিরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা যেন একটি প্রদীপের মতো, যা তরুণ প্রজন্মের পথ আলোকিত করে তাদের হাতে তুলে দেবে স্বপ্ন পূরণের সাহস ও শক্তি। এই উদ্যোগ একটি জাতির আত্মবিশ্বাসের জয়গান, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।