দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ঈদের আগের দিনও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, গাজায় নিহত ৯০ - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Friday, 6 June 2025

ঈদের আগের দিনও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, গাজায় নিহত ৯০


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আজ শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। কিন্তু গাজা উপত্যকার বহু মানুষের কাছে এই দিন এসেছে শোকের ভার নিয়ে। ঈদের ঠিক আগের সন্ধ্যা থেকে পরদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইসরায়েলের চালানো আক্রমণে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৮৯ জন।


গাজা প্রশাসনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন; উদ্ধারকাজ চলছে।


২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সাম্প্রতিক হামলা যোগ হলে গত দেড় বছরে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন মানুষ। নিহত ও আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—এই দুই শ্রেণির মানুষ মিলিয়ে সংখ্যাটি মোট হতাহতের ৫৬ শতাংশ।


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে হঠাৎ আক্রমণ চালায়। এলোপাতাড়ি গুলিতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় জিম্মি করে।


হামলার পরপরই ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৫ মাস ধরে চলা অভিযানে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়তে থাকলে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে তেলআবিব। তবে শান্তির সেই প্রচেষ্টাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই, ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।


এই দ্বিতীয় দফায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৪০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৪০৯ জন।


হামাসের হাতে যে ২৫১ জন ইসরায়েলি বন্দি হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত বলে ধারণা করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আইডিএফ জানিয়েছে, সামরিক পদ্ধতিতেই তাদের উদ্ধার করা হবে।


জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের অনুরোধ বহুবার জানানো হয়েছে। এমনকি হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদালত—আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।


তবে এসব আহ্বানকে অগ্রাহ্য করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য হলো হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা এবং সব জিম্মিকে উদ্ধার করা। লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলতেই থাকবে।


এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় দুই মাসের একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরায়েল এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানালেও হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি।