দূরন্ত বিডি ডটকম --------------------------------স্বাগতম ২০২৪--------------------------- মানবতার কথা বলে ------------------------------------------------------ durontobd.com জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: শহীদ ও গুরুতর আহতদের পরিবার পাবেন ফ্ল্যাট - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: শহীদ ও গুরুতর আহতদের পরিবার পাবেন ফ্ল্যাট


স্টাফ রিপোর্টার- জহির শাহ্

 তথ্যই শক্তি, সত্যই সাহস

সারাদেশের শহীদ ও গুরুতর আহতদের জন্য সরকারের উদ্যোগ

গত জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য একটি বিশাল পুনর্বাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বর্তমানে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি)–এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।


প্রকল্পের মূল কাঠামো

বাসভবনের সংখ্যা ও অবকাঠামো:

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ তলা ও ১০ তলা মিলিয়ে মোট ৬টি ও ১০টি ভবন নির্মিত হবে।

প্রতিটি ফ্ল্যাট হবে ১,২৫০–১,৩৫৫ বর্গফুট আয়তনের। প্রতিটি ফ্ল্যাটে থাকবে—

দুটি শয়নকক্ষ,

একটি বসার ঘর,

একটি লিভিং রুম,

একটি খাবার কক্ষ,

একটি রান্নাঘর,

তিনটি শৌচাগার/বাথরুম।


সংখ্যা ও বিনিয়োগ:

মোট ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কিছু গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ভবিষ্যতে ফ্ল্যাট সংখ্যা ২,৬০০ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

প্রকল্পের প্রারম্ভিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬২ কোটি টাকা, যা সরকারি কোষাগার থেকেই বহন করা হবে।


আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও ভাতা

শহীদ পরিবার:

এককালীন ৩০ লাখ টাকা, এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা, এবং আগামী অর্থবছরে ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

শহীদ ও (ক্যাটাগরি ‘ক’): ২০ হাজার টাকা,

ক্যাটাগরি ‘খ’ বা আংশিক আহতদের জন্য: ১৫ হাজার টাকা।

কাপ্রথম ধাপে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে ঢাকার মিরপুর ১৪ ও ৯ নম্বর সেকশনে।

ভবন নির্মাণের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত ৫ একর সরকারি জমি ব্যবহার করা হবে।

এসব ফ্ল্যাটের আশপাশে গড়ে তোলা হবে আধুনিক নাগরিক সুবিধা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্কসহ একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক এলাকা।

প্রকল্পটি ২০২৯ সালের জুন মাসে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


প্রশাসনিক জটিলতা ও দায়-দায়িত্ব

ওয়ারিশ নির্ধারণের জটিলতা:

শহীদের উত্তরাধিকার হবেন বাবা-মা, নাকি স্ত্রী-সন্তান—এই নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।


নিবন্ধন ফি:

ফ্ল্যাট হস্তান্তরের সময় প্রায় ১০ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি লাগতে পারে। এই ব্যয় কে বহন করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।


আন্তর্জাতিক ও মানবিক প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক অনন্য নজির—একটি গণ–আন্দোলনের শহীদদের বাসস্থান, সম্মান ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

এই পদক্ষেপ দেশের মানবিক ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও উজ্জ্বল করবে।


সরকারিভাবে এখন কী চূড়ান্ত?

যেসব বাধা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা দূর করতে সরকার “সিঙ্গেল উইন্ডো নীতিতে” নীতিমালা তৈরির পথে রয়েছে।

একনেক অনুমোদনের পরপরই দরপত্র আহ্বান ও নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

---

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—

সত্যের পক্ষে, মানবিকতার পাশেই।