দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। শিক্ষক নির্যাতন: জ্ঞানের বাতিঘরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুন - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Thursday, 14 August 2025

শিক্ষক নির্যাতন: জ্ঞানের বাতিঘরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুন


জহির শাহ, বিশেষ প্রতিবেদক

বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন, যেখানে জ্ঞানের আলো জ্বলার কথা, সেখানে আজ অন্ধকারের ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। শিক্ষক, যারা জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর, তাদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে স্কুল-কলেজের মাটি, তাদের সম্মান ছিন্নভিন্ন হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর সাম্প্রদায়িক বিষের আগুনে। ২০২৫ সালে এসে শিক্ষকদের উপর হামলা, লাঞ্ছনা, এমনকি হত্যার ঘটনা যেন এক ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। সিলেটের আখালিয়া বড়গুলে মাওলানা জুবায়ের আহমদের নৃশংস হত্যা, চট্টগ্রামের কান্তি লাল আচার্যের অপমান, দিনাজপুরের মাসুদুল হকের পদত্যাগে বাধ্য করা, ঢাকার গীতাঞ্জলি বড়ুয়ার গাছে বাঁধা লাঞ্ছনা—এগুলো কেবল পৃথক ঘটনা নয়, এগুলো একটি বিষাক্ত প্রবণতার সাক্ষ্য, যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভাঙছে, জ্ঞানের বাতিঘর ধ্বংস করছে। এই নির্যাতন শুধু শিক্ষকদের উপর আঘাত নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর হামলা, আমাদের সমাজের নৈতিকতার উপর আক্রমণ। কিন্তু কেন এই হিংসা? কেন শিক্ষকদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে আমাদের শিক্ষাঙ্গন? এর পেছনে কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, না কি আমাদের সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা বিচারহীনতার সংস্কৃতি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে ঘটনার ধারাবাহিকতায়, সমাজের আয়নায়, আর আমাদের নিজেদের বিবেকের দিকে।



১৪ আগস্ট ২০২৫, সিলেটের আখালিয়া বড়গুল। সকালের শান্ত রাস্তায় মাওলানা জুবায়ের আহমদ (৪৫), ডাঃ তানজিনা আহমদ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্টের একজন নিবেদিত শিক্ষক, তার প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না, এই পথই তাঁর জীবনের শেষ পথ হবে। নয়ন আহমদ, স্থানীয় জামায়াত নেতা আল আমিন আহমদের ছেলে ও ছাত্র শিবিরের কর্মী, পিছন থেকে ছুরি হাতে তেড়ে আসে। ছয়-সাতবার ছুরিকাঘাত। জুবায়েরের বুক ও পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের করে দেওয়া হয়। রাস্তায় রক্তের ধারা, আর একজন শিক্ষকের জীবন শেষ। পুলিশ তদন্তে বলছে, পারিবারিক বিরোধ বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হতে পারে। কিন্তু জুবায়েরের স্ত্রী, তাঁর ছোট্ট ছেলেমেয়ের কান্না কে শুনবে? এই হত্যা কেবল একটি ঘটনা নয়, এটি শিক্ষাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়া এক ভয়ঙ্কর প্রবণতার চিহ্ন। এই ঘটনার কয়েক মাস আগে, ২৭ জুন ২০২৫, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভাগ্যকূল কাদুখোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমি বিরোধের জেরে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। তাঁর শরীরে চাবুকের দাগ, মুখে অপমানের ছাপ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে এই নির্যাতন শুধু একজন শিক্ষকের উপর আঘাত নয়, এটি শিক্ষার মর্যাদার উপর হামলা। এর আগে, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী হাজী তবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্যকে স্থানীয় এক নেতার জনতা পদত্যাগে বাধ্য করে। তাঁকে অপমানিত করা হয়, তাঁর সম্মানকে পদদলিত করা হয়। কান্তি লালের মতো সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপর হামলা কি কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, নাকি এর পেছনে সাম্প্রদায়িক বিষও কাজ করছে?



এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের আরও পিছনে ফিরতে হবে। ১৩ মে ২০২৫, নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। তাঁকে কান ধরে দাঁড় করানো হয়, অপমানের শিকল পরানো হয়। এই ঘটনা কি ধর্মীয় সংবেদনশীলতার ফল, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে হাতিয়ার করা? একইভাবে, ১০ মার্চ ২০২৫, ঢাকার উত্তরায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। পুলিশ রাজনৈতিক মোটিভ সন্দেহ করছে, কিন্তু সত্য কি কখনো পুরোপুরি বেরিয়ে আসবে? ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, চুয়াডাঙ্গায় এক স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে ছাত্ররা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছায়া এখানেও। ২০ জানুয়ারি ২০২৫, গোপালগঞ্জের উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্রাসকে বারবার মারধর করা হয়, বহিষ্কার করা হয়, অপমানের তীরে বিদ্ধ করা হয়। এই ঘটনাগুলোর পেছনে একটি সাধারণ সুতো—আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা। শিক্ষকদের উপর হামলা বাড়ছে, শিক্ষাঙ্গন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র, এখানেও এই অন্ধকারের ছায়া পড়েছে। ২ আগস্ট ২০২৫, আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন ড. আব্দুল বাশিরকে ছাত্রদের চাপে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তাঁর সম্মানকে পদদলিত করা হয়। ১৫ মার্চ ২০২৫, নীল দলের সঙ্গে যুক্ততার অভিযোগে এক শিক্ষককে হয়রানি ও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। ২১ আগস্ট ২০২৪, গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার ছাত্র আন্দোলন সমর্থন না করায় অপমানের শিকার হন। এই ঘটনাগুলো শুধু শিক্ষকদের উপর হামলা নয়, এটি জ্ঞানের বাতিঘরের উপর আক্রমণ। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজে ১৮ এপ্রিল ২০২৫, অধ্যক্ষ মাসুদুল হককে বিভিন্ন অভিযোগে ছাত্ররা পদত্যাগে বাধ্য করে। তাঁর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেন অপমানকে সবার সামনে প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন, মাসুদুল হককে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—কেন একজন শিক্ষককে এভাবে লাঞ্ছিত করা হলো? তিনি বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেখার জায়গা, কিন্তু কতিপয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্যে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে।”

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঢাকার সরকারি আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, অধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়, পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। একজন নারী শিক্ষকের এমন অপমান কি কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, নাকি এর পেছনে গভীর সামাজিক বিষও কাজ করছে? বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, “হঠাৎ শিক্ষকদের উপর জুলুম-নির্যাতন কীসের আলামত?” এই প্রশ্ন আমাদের সবাইকে ভাবাতে বাধ্য করে। এই নির্যাতনের পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করলে প্রশাসন ভেঙে পড়বে, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ হবে।” কিন্তু এই বক্তব্য কি যথেষ্ট? শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭ আগস্ট ২০২৪-এ একটি চিঠি জারি করে বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কাম্য নয়। কিন্তু এই চিঠি কি শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে পারছে?



এই হামলাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই সাম্প্রদায়িক প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। নড়াইলে ২০২২ সালে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানো হয়। তিনি এখনো এলাকায় ফিরতে পারেননি। একইভাবে, বাগেরহাটের চিতলমারীতে ২০১৬ সালে শিক্ষক কৃষ্ণপদ মহলী ও অশোক কুমার ঘোষালকে ধর্মীয় অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনাগুলো দেখায়, সাম্প্রদায়িকতা শিক্ষক নির্যাতনের একটি বড় কারণ। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু বলেন, “শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি এই নির্যাতনকে উৎসাহিত করছে।”


এই নির্যাতনের পেছনে রাজনৈতিক দলীয়করণের ছায়া আরও স্পষ্ট। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের শিকার হয়েছে। শিক্ষকদের উপর রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে, এবং এখন সেই প্রভাবের প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, “শিক্ষকরা সমাজের বাইরের কেউ নন। তাদের উপর দলীয় রাজনীতির প্রভাব পড়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।” এই বিশৃঙ্খলার ফলেই শিক্ষকরা আজ লাঞ্ছনার শিকার। শিক্ষক হৃদয় মন্ডল, যিনি ২০২২ সালে মুন্সিগঞ্জে ধর্মীয় অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, বলেন, “আমার জীবন এখন স্কুল আর বাড়ির গেটে আটকে গেছে। রাতে বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কি হয়, হুমকি আসে। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়?”


এই ঘটনাগুলো শুধু শিক্ষকদের উপর হামলা নয়, এটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভাঙার চেষ্টা। শিক্ষকরা আমাদের জাতির আলোকবর্তিকা। তাদের উপর হামলা মানে জ্ঞানের উপর হামলা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর হামলা। খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় ছাত্র পরিষদের মতো সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু প্রতিবাদ কি যথেষ্ট? বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবুল বলেন, “বিচারহীনতার ধারাবাহিকতাই শিক্ষক লাঞ্ছনার সাহস জুগিয়েছে।” যখন অপরাধীরা শাস্তি পায় না, তখন নির্যাতনের সাহস বাড়ে। শিক্ষকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এই প্রবণতা থামবে কীভাবে?


শিক্ষক নির্যাতনের এই ঘটনাগুলো আমাদের সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা একটি সংকটের প্রতিচ্ছবি। এটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নয়, এটি আমাদের নৈতিক অবক্ষয়ের সাক্ষ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শিক্ষকদের জায়গা মর্যাদার। সেটাই যদি না থাকে, তাহলে শিক্ষা কীভাবে এগুবে? এর ফল কোনোভাবেই ভালো হবে না।” এই নির্যাতন শুধু শিক্ষকদের জীবন নষ্ট করছে না, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন ধ্বংস করছে। শিক্ষকরা যখন ভয়ে ক্লাসে দাঁড়াবেন, তখন কীভাবে তারা ছাত্রদের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালাবেন?


এই নির্যাতনের পেছনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। গত ১০ বছরে শিক্ষকদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপর। সাংবাদিক শরিফুজ্জামান পিন্টু বলেন, “সামাজিক অবক্ষয় এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।” এই অবক্ষয়ের ফলেই শিক্ষকরা আজ রাস্তায়, স্কুলে, এমনকি নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নন। শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করছে, কিন্তু তাদের প্রতিবাদও রাজনৈতিক দলীয়করণের শিকার। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, “রাষ্ট্রকে শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। তাহলে এই নির্যাতন কমবে।” কিন্তু রাষ্ট্র কি এই দায়িত্ব পালন করছে?


আমাদের মনে একটি প্রশ্ন—আমরা কি এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে শিক্ষকদের রক্ত ঝরবে, তাদের সম্মান পদদলিত হবে? আমরা কি এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই, যেখানে শিক্ষার বাতিঘর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে? শিক্ষকরা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড। তাদের উপর হামলা মানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর হামলা। এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এই লাঞ্ছনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের শিক্ষাঙ্গনকে আবার জ্ঞানের আলোয় ভরিয়ে তুলতে হবে। প্রশ্নটা আমাদের সবার—আমরা কি চুপ থাকব, নাকি সত্যের পক্ষে দাঁড়াব?