দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। আওয়ামী রক্ত আছে এমন কারও পুনর্বাসন হবে না: হাসনাত - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

Tuesday, 27 May 2025

আওয়ামী রক্ত আছে এমন কারও পুনর্বাসন হবে না: হাসনাত


রাজনীতি প্রতিনিধি :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যে আওয়ামী সংবিধান বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে সেই আওয়ামী সংবিধানকে আমরা চিরদিনের মতো এদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবো। নতুন বাংলাদেশ এবং নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করে যাবো। এই দেশে শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী রক্ত আছে এমন কারও পুনর্বাসন হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পথসভার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জনগণের বাংলাদেশ গড়তে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে এনসিপির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাই। জনগণের কাছে ভিক্ষা চাই।’


হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো যে বাংলাদেশের মালিক কোনো সরকার নয়, কোনো দল নয়- যে বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। যতদিন পর্যন্ত আমরা হকের পথে থাকবো, হালালের পথে থাকবো, সত্যের পথে থাকবো, ন্যায়ের পথে থাকবো, অন্যায়ের বিপক্ষে থাকবো, দুর্নীতির বিপক্ষে থাকবো, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবো, ভারতীয় আগ্রাসনের বিপক্ষে থাকবো ততক্ষণ আপনাদের পাশে চাই।


ছাত্রজনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যে দলের প্রার্থীকে আপনারা যোগ্য ভাবেন, যে দলের প্রার্থী হক ও হালালের পথে রয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রয়েছে, ছাত্রজনতার পক্ষে রয়েছে- আপনারা তাদের পক্ষে দাড়ান। টাকা দেখে নেতা নির্বাচন করবেন না। কারণ যে নেতা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে আসে সে এই ভোটের টাকা আগামী পাঁচ বছর ধরে তুলবে। আপনি এক দিন টাকা দিয়ে ভোট বিক্রি করবেন আর আপনার ভোটে নির্বাচিত সেই নেতা ৫ বছর ধরে তার আসনের দুই থেকে তিন লাখ মানুষের হক নষ্ট করবেন। আপনাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমরা আমাদের সামাজিক সমস্যা, স্থানীয় সমস্যা, এটা আমাদের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। এই দেশের মানুষ শুধুমাত্র চায় রাস্তাঘাটের সংস্কার, এদেশের মানুষের চাওয়া অনেক কম। তারা চায় বাজার থেকে যে জিনিসটা কিনতে সেটা কম দামে কিনতে, তারা চায় হাসপাতালে যে চিকিৎসার জন্য যাবে সেটা ঠিকভাবে পেতে, তারা চায় স্কুল কলেজগুলোতে ভালোভাবে পড়াশোনা করা, এই সহজ সরল মানুষগুলোকে বিগত দিনের সরকার শুধু ক্ষমতায় যাবার সিড়ি বানিয়েছে।


পুলিশ ও প্রশাসনের লোকদের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অতীতে এই পুলিশ বাহিনীকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগ, যুবলীগের মতো ‘পুলিশ লীগ’ বানিয়েছে। আমরা আপনাদের সন্তান, আপনাদের ছোটভাই- জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, আল্লাহর দোহাই লাগে আপনারা আর কোন সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হবেন না। আমরা ছাত্র-জনতা আপনাদের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে চাই। যারা প্রশাসনে আছেন আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই। ছাত্রজনতা আপনাদের বিপক্ষে নয়। আপনারা যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের পক্ষে ছাত্র জনতার পক্ষে থাকবেন আপনাদের এই ইউনিফর্মকে আমরা সম্মান জানাই। কিন্তু যখনই আপনারা জনগণের বিপক্ষে গিয়ে কোনো ফ্যাসিবাদকে সেবা করা শুরু করবেন তখন ছাত্রজনতা আপনাদের বিপক্ষে অবস্থান নেবে। 


তিনি বলেন, ইনসাফের বার্তা নিয়ে এনসিপি আপনাদের দ্বারে এসেছে। আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো নই। আমরা চাইবো না পুলিশ এনসিপিপন্থী হোক। আমরা চাইবোনা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান এনসিপি পন্থী হোক। আমরা চাইবো পুলিশ জনগণপন্থী হোক। এনসিপি এমন একটি বাংলাদেশ চায় যেখানে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান হবে স্বাধীন। যেখানে পুলিশ সরকারের গোলাম নয়, পুলিশ জনগনের কাছে দায়বদ্ধ।


হাসনাত আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রাম সফরের প্রথম দুই দিন উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বিভিন্ন স্পটে পথসভা করেন। মঙ্গলবার তৃতীয় দিন মঙ্গলবার নগরীর চকবাজর অলি খাঁ মসজিদের সামনে, বহদ্দার হাট মোড়, অক্সিজেন চত্বর, ষোলশহর বিপ্লব উদ্যান, আগ্রাবাদ বাদামতল মোড় ও নিউ মার্কেট মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তারা।


কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন, আজিজুর রহমান রিজভী প্রমুখ।