খেলার ডেস্ক :
বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কানাডা জাতীয় দলে খেলা ফুটবলার সামিত সোম। তার সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে বাফুফে। এ পথে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি এসেছে আজ সকালে—পাসপোর্ট হাতে না পেয়েই মিলেছে কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র।
সামিতের বিষয়টি দেখভাল করছেন বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
আজ সকালে অনাপত্তিপত্র পাওয়ার খবর জানিয়ে তিনি বলেন, 'চিঠিতে সামিত কানাডার হয়ে কবে, কাদের বিপক্ষে, কত মিনিট খেলেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। আগামীকালই তার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার কথা। পাসপোর্ট হয়ে গেলে আমরা ফিফার কাছে আবেদন করব। ১০ জুন ঢাকায় ম্যাচ খেলাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।'
অন্য দেশের হয়ে খেলেছেন এমন ফুটবলারকে জাতীয় দলে নিতে হলে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা পেরোতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো—প্রত্যাশিত দেশের পাসপোর্ট ও আগের দেশের অনাপত্তিপত্র। হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও প্রথমে পাসপোর্ট, পরে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র নিয়েছিল বাফুফে। তবে সামিতের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন কৌশল নেয়া হয়েছে—জন্ম নিবন্ধনের কপি এবং তার স্বপ্রণোদিত ঘোষণার ভিত্তিতে পাসপোর্ট হওয়ার আগেই চিঠি চাওয়া হয় কানাডার কাছ থেকে।
এই প্রসঙ্গে ফাহাদ করিম বলেন, 'সাধারণত পাসপোর্ট পাওয়ার পরই অন্য দেশের কাছে অনাপত্তিপত্র চাওয়া হয়। তবে সামিত যেহেতু নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে আর কানাডার হয়ে খেলবে না, তাই আমরা দেরি করিনি। ইমেইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত বিষয়টি এগিয়ে নেই। আশা করছিলাম সোম বা মঙ্গলবার পাব, কিন্তু আজ সকালেই পেয়েছি।'
এখন অপেক্ষা সামিতের বাংলাদেশের পাসপোর্টের। কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এরই মধ্যে প্রস্তুত। বাফুফের আশা, আসন্ন সপ্তাহেই পাসপোর্ট মিলবে। এরপরই ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে যাবতীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা হবে। সবুজ সংকেত পেলে সামিত হয়ে যাবেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য পুরোপুরি উপযোগী।
১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের জন্য ফিফার খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ সময় ৩ জুন। ২ জুনের মধ্যে যদি ফিফা থেকে ছাড়পত্র মেলে, তাহলে সামিতকে সেই ম্যাচেই মাঠে দেখা যেতে পারে লাল-সবুজের জার্সিতে। হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি সময় নিয়েছিল তিন মাসের বেশি। সামিতের ভাগ্যেও কি তেমন অপেক্ষা, না কি এবার একটু দ্রুতই মিলবে সাড়া—তাই এখন দেখার বিষয়।