দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার, ৩ ইউটিউবার গ্রেফতার - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Saturday, February 25, 2023

জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার, ৩ ইউটিউবার গ্রেফতার

ডিজিটাল দুনিয়া প্রতিবেদক : 

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এসব বিজ্ঞাপনের ফলে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে কিশোর ও তরুণরা। এরপরই শুরু হয় তদন্ত, খোঁজ মেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা বিভিন্ন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে জুয়ার সাইটের। 

জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং টিকটকারদের টার্গেট করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন ইউটিউবারকে। 

একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ইউটিউবের বিভিন্ন কন্টেন্টে প্রদর্শিত হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। ক্রিকেক্স নামে জুয়ার সাইটটি ভিডিওটির স্পন্সর। হামিদ মালস নামে একটি চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে ভিডিওটি।

এরকম অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। অথচ দেশের প্রচলিত আইনে এসব বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে হাইকোর্টেরও রুল রয়েছে।

রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ তিনজনের মধ্যে একজন প্রত্যয় হিরন, ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম দ্য আজাইরা লিমিটেড; আরেকজন আবদুল হামিদ, চ্যানেলের নাম হামিদ মালস।

পুলিশ বলছে, ভারতীয় বিভিন্ন জুয়ার সাইটের বাংলাদেশে রয়েছে এজেন্ট। দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং টিকটকারদের টার্গেট করে তাদের চ্যানেলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জুয়ার প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন দেয় তারা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, ‘আজাইরা লিমিটেডের অনলাইন ওয়েব সিরিজ আছে বদমাইশ পোলাপান। তারা এ সিরিজের প্রতিটি পর্বের বিভিন্ন স্লটে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তাদের গ্রেফতারের পর জানতে পারি, অনলাইন জুয়াড়িরা দেশের বাইরে থেকে সব পরিচালনা করে। ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবারদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা বিভিন্ন ভিডিওতে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখে কিশোর-তরুণরা বেটিং সাইটে আসক্ত হচ্ছে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা। এর ফলে তাদের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা।

এ ধরনের আরও একাধিক ইউটিউব চ্যানেলে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।