দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। সরাইলে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Sunday, 16 November 2025

সরাইলে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন


জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বহু বছর ধরে চলমান জমি–সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের সূত্র ধরে শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মেগুরহাটি এলাকায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।


স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা তৈরির মাধ্যমে উত্তেজনার নতুন সূচনা হয়। পরদিন ভোরে দানা মিয়া ও শিপন গোষ্ঠীর লোকজন টেঁটা–বল্লম, লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া এবং বাড়িঘরে হামলার ঘটনা।


প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত তিন দফায় সংঘর্ষ চলে এবং এতে অন্তত ৬–৭টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দরজা–জানালা, টিনশেড, ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।


আহতদের মধ্যে অনেকের মাথা, হাত ও পায়ে গভীর আঘাত রয়েছে। কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।


জমিটির মালিকানা নিয়ে বিরোধটি বহুদিন ধরেই চলমান ছিল। উভয় পক্ষই দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের অবস্থান দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছিল, যা সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তোলে। গ্রামবাসীর মতে, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল।


ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন,

“জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”


সংঘর্ষের পর গ্রামজুড়ে এখনও চাপা উত্তেজনা টের পাওয়া যাচ্ছে। সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।


স্থানীয়দের অভিমত—বিষয়টির স্থায়ী আইনি নিষ্পত্তি না হলে ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তবে কারও বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের অভিযোগ তোলা হয়নি।