দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ঘুর্ণিঝড় মোখা : নাইক্ষ্যংছড়িতে লন্ডভন্ড ধানক্ষেত ও কলা বাগান - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Monday, May 15, 2023

ঘুর্ণিঝড় মোখা : নাইক্ষ্যংছড়িতে লন্ডভন্ড ধানক্ষেত ও কলা বাগান


জেলার খবর :

পার্বত্য বান্দরবানের  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এলাকায় ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ধানক্ষেত ও কলাসহ পাহাড়ি টিলাতে করা নানা প্রজাতির বাগান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন লতাজাতীয় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি ব্যাপক। ঝড়ের আঘাতে মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর-চাকঢালা সড়কের কে.জি স্কুল এলাকায় বিশালাকার ১টি গাছ ভেঙ্গে পড়ায় রোববার বেলা ৩ টা থেকে এ সংবাদ লেখাকাল অবধি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিলো । 


এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া লোকজনের তদারকিতে দিন পার করেছেন উপজেলা প্রশাসন। রোববার বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে ঝড়ো ও ধমকা হাওয়া চলাকালে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে এ চিত্র ভেসে আসে।


সূত্রগুলো আরো জানায়, বাইশারী ক্যংগার বিল আশ্রয় কেন্দ্র সহ মোট ৫ কেন্দ্রে ৩ শত লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বাইশারীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী এসব কেন্দ্রে শুকনো খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছেন বলে জানান এ প্রতিবেদককে।তার মতে, তার ইউনিয়নে কৃষি পণ্যের ক্ষতি ব্যাপক। অন্যান্য ক্ষতি তৎক্ষনাৎ জানাতে পারেন নি তিনি।


নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন বলেন, তার ইউনিয়নে ৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যকটিতে সেচ্ছাসেবী রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে যারা আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতে শুকনো খাবারসহ সবধরণের সহায়তা দিয়েছেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, মোকার কারণে তার এলাকায় কৃষি ক্ষেত লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে।বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি, কলাগাছ ও ধান ক্ষেতের ক্ষতি বেশী। বাকী ৩ ইউনিয়নে খোঁজ নিয়েও একই তথ্য পান এ প্রতিবেদক।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, তিনি তৎক্ষনাত বিষয়টি জানাতে পারছেন না। তবে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।


থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে কোন দূর্ঘটনার খবর তার কাছে নেই। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে সমূহ ক্ষতি থেকে পরিত্রানের জন্যে  সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।


ঘুমধুম,সদর,বাইশারী ও অন্যান্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আসা লোকজনের বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে তিনি নিজে সরেজমিন গিয়েছেনও।তিনি আরো বলেন, মোখা ঘূর্ণিঝড়ের দিন উপজেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধস বিষয়ে মাইকিং করা সহ সজাগ করেছেন নানা ভাবে ।


এছাড়া অনেক কৃষি পণ্যের ক্ষতির কথা স্বীকার করেন তিনি বলেন, কৃষি প্রধান এ উপজেলায় সবজি, কলা আর ধান এ ৩ কৃষি পণ্যের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া ঝড়ো ও ধমকা হাওয়ায় সীমান্তের চাকঢালা সড়কটিতে একটি বিশালাকার গাছ রাস্তায় পড়ে সড়ক যোগাযোগে কিছু বিঘ্ন ঘটে। শিক্ষা কার্যক্রম রোববার ও সোমবার বন্ধ রয়েছে।


উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোকা রোববার দুপুর ২টার পর থেকে প্রবল আকার ধারণ করে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এ সংবাদ লেখা অবধি ঝড়ো হাওয়া ও গুটিগুটি বৃষ্টি হচ্ছিলো। তবে উপজেলার কোথাও হতাহতের খোঁজ পাওয়া যায় নি।