আগে ৬ মাস গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি ভাবু - এমন বক্তব্য প্রদান করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
গ্যাস লাইনে গ্যাস সরবরাহ না করে মাসে মাসে বিল নিয়ে এখন আবার ডাবল বার্নারের বর্তমান বিল ১০৮০ টাকার স্থলে ১৫৯১ টাকা করার প্রস্তাব অমানবিক, অবাস্তব, জনগনের উপর স্রেফ জুলুম ও শোষন ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের সংবাদে আজ ১৭ মে, বুধবার, গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, বাসায় গ্যাসের লাইন রেখে গ্যাস না পেয়ে বিকল্প উপায়ে (এলপিজি সিলিন্ডার ও ইলেকট্রনিক চুলায়) প্রয়োজনীয় রান্না করে সিংহভাগ গ্রাহক প্রতি মাসে তিতাসগ্যাস কোম্পানিকে ১০৮০ টাকা অযথা বিল দিয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের গ্রাহকরা ঠিকভাবে গ্যাস পাচ্ছে কি পাচ্ছে না এ বিষয়ে কতৃপক্ষের কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ বিষয়ে কোন তদারকিও দৃশ্যমান নেই।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকার সেবার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে সাধারণ মানুষকে এটিএম মেশিন মনে করছে। তারা ছলে বলে কলে কৌশলে জনগনের পকেট থেকে টাকা নেয়ার ফন্দি ফিকির করে জনগনের সুখ কেড়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, সরকারের ও তিতাসগ্যাস কোম্পানীর কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী জনগনের সেবা দেবার পরিবর্তে নিজেদের আখের গোছাতে উৎকোচ সংগ্রহের ধান্ধা ফিকিরে ব্যস্ত থাকে।
তিনি বলেন ক্ষমতাসীন সরকার যদি নিজেদেরকে জনগনের বন্ধু ভাবে তবে তাদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে তিতাস গ্যাসের প্রত্যেকটি গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। গ্রাহকদের যদি বিকল্প জ্বালানি (এলপিজি গ্যাস ও ইলেকট্রনিক চুলা) ব্যবহার করতে না হয়, আমার বিশ্বাস তবে প্রত্যেক গ্রাহক ডাবল চুলায় ১৫৯১ নয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা করে দিতে প্রস্তত থাকবে।
