দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। প্রকাশের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার হাতে ছেলের রেজাল্ট, ফেসবুকে স্ট্যাটাস - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Monday, May 22, 2023

প্রকাশের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার হাতে ছেলের রেজাল্ট, ফেসবুকে স্ট্যাটাস

শিক্ষা প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফল দেয়ারও প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু এখনও প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা নিজের ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ার আগেই কিভাবেই তিনি ছেলের ফলাফল পেলেন সেটিই এখন সবার কাছে আলোচ্য বিষয়। পরীক্ষায় অনিয়ম হতে পারে এমন সংশয়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে।

রোববার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটের দিকে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী তার ছেলে ‘এ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জানিয়ে নিজের ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন। যদিও পোস্ট করার কিছুক্ষণ পর তিনি আবার সেটি ডিলিট করে দেন।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, 'আলহামদুলিল্লাহ। আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৬৯৬ এবং কোটা তালিকায় তৃতীয় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।' এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ওই কর্মকর্তা পোস্টটি মুছে দেন।

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে ফলাফল প্রকাশের কোনো সূত্রই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলও ফলাফল প্রকাশ করেননি বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে আমাদের হাতে ফলাফল এসেছে। ক্রস চেক করে আমরা ফলাফল প্রকাশ করব।

ওই অভিভাবক প্রকাশের আগেই কীভাবে ফলাফল পেয়েছেন জানেন না উল্লেখ করে তিনি।

এদিকে ফলাফল কিভাবে পেয়েছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে চবির এই কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল পেয়েছে। পাওয়ার পর আমাকে জানিয়েছেন।

যদিও এর কিছুক্ষণ পর তিনি ফেসবুক থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে আবার ফোন করা হলে তিনি খবরটিকে উড়ো বলে এড়িয়ে যান। এভাবে পোস্ট করা উচিত হয়নি বলেও স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে জানতে ইউনিটটির কো-অর্ডিনেটর ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।