সরকারের বিরুদ্ধে ‘গণঅভ্যুত্থান’ সৃষ্টি করতে নেতা-কর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বুধবার বিকালে বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজিত পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ নব্বই সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমানদের নেতৃত্বে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদকে বিদায় করা হয়েছিলো। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের মতো স্বৈরাচারকে এদেশের মানুষ গণ আন্দোলন করে বিদায় করেছে। এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকেও বিদায় করতেও গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নাই।”
‘‘ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যে সংকট সামনে এই সংকটের ফয়সালা করতে হলে রাজপথেই করতে হবে।অতএব এই রাজপথে এর ফয়সালা করার জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহন করুন। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে জনগনের মধ্যে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে এই সরকারকে বিদায় করবো-এটাই আমাদের শপথ।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ এই সরকার যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। তারা দেশের অর্থনীতি লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে যে অর্থনীতি ধবংস করে দিয়েছে তারা সেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা এদেশের আইন ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে ধবংস করে দিয়েছে তারা এদেশের আইন ব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ করতে পারবে না বা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। যারা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছেন তারা দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না।”
‘‘ শুধু তাই নয়, আজকের পত্রিকায় আছে, সরকার আমাদের দেশে যেসব বৃহত দেশের কুটনীতিক আছেন তাদের বিশেষ নিরাপত্তা স্কট ছিলো তা প্রত্যাহার করেছে। গত ৫১ বছর বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তার অর্থ হচ্ছে, এই সরকার কিন্তু কুটনৈতিক ক্ষেত্রেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে তারা আজকে পাগলের মতো আচরণ করছে। দেশে-বিদেশে আর এই সরকারের কোনো সমর্থন নেই, ক্ষমতা নেই।”
উত্তর বাড্ডার শাহজাদপুর সুবাস্ত টাওয়ারের সামনে দুপুর ১টা থেকে নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেষ্টুন হাতে নিয়ে এই নিরব পদযাত্রা শুরু করে যা মালিবাগের আবুল হোটেলে মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির তাবিথ আউয়াল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

