জুয়া খেলা ও মোটরসাইকেল চুরির দায়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ মে) ভোরে আলাদা অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার অপরাধে পাঁচ এবং চোরাই মোটরসাইকেলসহ চারজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দড়িতাজপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬), ছোট ছত্রগাছা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে সৌরভ ইসলাম (২০), বড় দাউদপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে রাজা মিয়া (৪০), নিচপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন মিঠু (৫৬)।
ঘোড়াঘাট উপজেলার হরিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৫৬), শাহপাড়া গ্রামের মৃত মমিনুদ্দীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৫), বলগাড়ী গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে জহিরুদ্দীন (৫০), শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেন (৬০) এবং বলগাড়ী গ্রামের শফিরুদ্দীনের ছেলে শাহারুল হোসেন (৫৫)।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধির একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলের মালিক মো. ইবনে মাসুদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানা এলাকার ছত্রগাছা গ্রাম থেকে বুধবার ভোরে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় চোরাই চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়।
এদিকে বুধবার ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার বলগাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের সবাইকে অর্থদণ্ড করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, চুরির অপরাধে আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হবে। আসামিদের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
এ দিকে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, ‘জুয়া খেলার অপরাধে আটক সবাইকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্থদণ্ড করেছেন। মাদক এবং জুয়া বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।’
