দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। ইমরান-সেনাবাহিনীর বিরোধ তুঙ্গে, সেনাপ্রধানের নতুন হুমকি - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Tuesday, May 16, 2023

ইমরান-সেনাবাহিনীর বিরোধ তুঙ্গে, সেনাপ্রধানের নতুন হুমকি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
আবারও প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যকার বিরোধ। এবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির হুমকি দিয়েছেন, যারা কর্পস কমান্ডারদের বাসভবন এবং সেনা সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছিল তাদের সেনা আইনে বিচার করা হবে।


পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৯ মে গ্রেফতার করে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। এ গ্রেপ্তারের সঙ্গে ‘সেনাবাহিনীর হাত আছে’ এমন সন্দেহে সেদিন ইমরান খানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তর এবং লাহোরে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়।


তবে সম্প্রতি সেদিন সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে যারা হামলা চালিয়েছিলেন তাদের সামরিক আইনে বিচার করার হুমকি দিয়েছেন সেনাপ্রধান অসিম মুনির। সোমবার (১৫ মে) কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুমকি দেন তিনি। সেনাপ্রধানের এমন হুমকিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের ভেতরে ভেতরে যে বিরোধ চলছিল তা প্রকাশ্যেই চলে এলো।

 
কর্পস কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল অসিম মুনিরের বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। ওই বিবৃতিতে হুমকির সুরে বলা বলা হয়েছে, ‘কর্পস কমান্ডার ফোরাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সামরিক অবকাঠামোতে যেকোনো কারণে কোনো হামলা হলে হামলাকারী, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আর কোনো সংযম প্রদর্শন করা হবে না।’
 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কর্পস কমান্ডার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামরিক অবকাঠামো, সেনা/যন্ত্রাংশের ওপর এ ধরনের হীন হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সামরিক আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট আইন এবং পাকিস্তানের সাধারণ আইনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
 

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি শক্তি সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এসব প্রচেষ্টা কঠোরতার সঙ্গে দমন করা হবে।
 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সেনাবাহিনী প্রত্যাশা করে সব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছাবে।’
 

তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালানোর বিষয়টিকে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেছেন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে এসব চক্রান্ত করা হয়েছে।
 

ইমরান খান আরও বলেছেন, ‘আমি জাতিকে বলতে চাই, আপনাদের এ ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রসহ আন্দোলনের ভেতর ঢোকানো হয়েছিল এবং তারাই এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কাছে ভিডিওসহ প্রমাণ আছে।’