জাতীয় ডেস্ক :
“ভোটাধিকার কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি জন্মগত ও সাংবিধানিক অধিকার”—এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের সংবাদ সম্মেলন।
শনিবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপি সেন্ট্রাল ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় আরেক সদস্য আলমগীর চৌধুরী আকাশ।
বক্তব্যে তারা বলেন, “প্রবাসীরা শুধু রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকেই সমৃদ্ধ করছেন না, বরং দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্যও তারা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা এখনও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত—এটি এক চরম বৈষম্য।”
বর্তমানে বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রায় ২ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ রয়েছেন মালয়েশিয়ায়। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিত্বের অধিকার থেকে এখনও বঞ্চিত।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবিতে পাঁচটি মূল প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়:
১. প্রবাসীদের ভোটাধিকার আইন ও সংবিধানে সুরক্ষিত করা।
২. নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে একটি স্বচ্ছ ও সময়নির্ধারিত রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৩. দূতাবাসভিত্তিক ভোটকেন্দ্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই সাপেক্ষে একটি নিরাপদ, নিরপেক্ষ অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি চালু করা।
৪. বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য পৃথক ‘ভোটার তালিকা’ প্রস্তুত করা।
৫. প্রবাসীদের মাঝে ভোটসচেতনতা বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রচারাভিযান চালানো, যার নেতৃত্ব দেবে সরকার ও কূটনৈতিক মিশনসমূহ।
বক্তারা স্পষ্টভাবে জানান, এই দাবিগুলো কোনো দলীয় স্বার্থ নয়—এটি একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক এবং অরাজনৈতিক দাবি, যা প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই উত্থাপিত।
সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনলাইনে ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন: রওশন আলম, মোহাম্মদ আল আমীন, শহিদুল ইসলাম, দাউদ ইসলাম ভূঁইয়া, বশির আহমেদ আলম, রায়হান হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইমন, তুহিন হোসেন, মুরাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশিদ, বেলায়েত হোসেন, মুশফিকুর রহমান, সাহাদাত আলম প্রমুখ।
