মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে টানা ৭ম দিনের মতো হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। আঞ্চলিক এই সংঘাতে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোও জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইরান-ইসরায়েলের চলমান এই সংঘাতের প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেট জানতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে থাকুন।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বিবৃতিতে বলেছে, “যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় না হচ্ছে ততক্ষণ শত্রুদের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত থাকবে।” ইরান জানিয়েছে, যুদ্ধের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
অন্যদিকে নিজের জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুমে’ বৈঠকটি হবে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিরাপত্তা দলের সদস্যরা হোয়াইট হাউজে আসা শুরু করেছেন। যারমধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেটে গেজসেথ, গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র পরিচালক জন র্যাটক্লিফ এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউজে এসে পৌঁছেছেন।
ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন দিয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের বিষয়ে আমার চিন্তা-ভাবনার বিষয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কোনও ধারণাও নেই। এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশায় তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইরান ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ও এতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।