আমেরিকা ভ্রমণ এখন উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি নতুন বিল। যার জেরে নতুন ভিসার জন্য এপ্রিল ২০২৬ থেকে পর্যটক, ছাত্র বা কর্মসূত্রে যাওয়া ব্যক্তিদের অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। বিদ্যমান ভিসা প্রসেসিং ফি ছাড়াও, অ-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের দুটি নতুন চার্জ দিতে হবে-
১) ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি
২) ফর্ম আই -৯৪ আগমন/প্রস্থানের জন্য একটি ফি
যা ভিসা বিভাগের উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত খরচ সহ স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপ্লিকেশন চার্জের উপরে বাধ্যতামূলক হবে।
ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি
এই ফি নির্ধারিত হয়েছে ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ৪১৯ টাকা।
এটি নন-রিফান্ডেবল। অর্থাৎ ভিসা না পেলেও বা পরে বাতিল হলেও টাকা ফেরত মিলবে না।
ভিসা ইস্যুর সময়ই এই ফি জমা দিতে হবে।
প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই অনুযায়ী) হিসাব করে এই ফি বাড়তে বা কমতে পারে।
মূল ভিসা ফি ছাড়াও এই বাড়তি ফি দিতে হবে।
কত বাড়ছে খরচ?
এখন একটি সাধারণ বি-১/বি-২ (পর্যটক ও ব্যবসা) ভিসা নিতে খরচ হয় ১৮৫ ডলার। নতুন ইন্টিগ্রিটি ফি যোগ হলে সেই খরচ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪৭২ ডলার। অর্থাৎ, মোটামুটি আড়াই গুণ বেশি।
ফি-এর কাঠামো
মূল ভিসা ফি: ১৮৫ ডলার
নতুন ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি: ২৫০ ডলার
আই-৯৪ ফি: ২৪ ডলার
ইএসটিএ ফি: ১৩ ডলার
কারা এই ফি দেবেন?
ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি প্রায় সব ধরনের অস্থায়ী ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর মধ্যে রয়েছে — বি-১/বি-২ (পর্যটক ও ব্যবসা), এফ ও এম (ছাত্র), এইচ-১বি (কর্মরত পেশাদার), জে (বিনিময় কর্মসূচি)। শুধু কূটনৈতিক (এ ও জি ক্যাটাগরি) ভিসা ছাড়া বাকিদের সবার ক্ষেত্রে এই ফি বাধ্যতামূলক।
কেন এই ফি আরোপ?
মার্কিন সরকার জানিয়েছে, ভিসা ইন্টিগ্রিটি ফি আরোপ করা হয়েছে বিদেশিদের ‘নিয়ম মানার প্রবণতা’ বাড়াতে এবং অভিবাসন আইন আরও কঠোরভাবে চালু রাখতে। অর্থাৎ, এটাকে এক প্রকার সিকিউরিটি ডিপোজিট বলেই ধরা হচ্ছে। এই ফি পরিচালনা করবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ( DHS )। প্রতি বছর মার্কিন বাজারে মূল্যবৃদ্ধি (CPI) অনুসারে এই ফি বাড়ানো বা কমানোর অধিকারও থাকবে ডিএইচএস-এর হাতে।
সূত্র : এনডিটিভি