দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে বিসিবির নতুন বিকল্প পরিকল্পনা - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Sunday, 27 July 2025

এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিতে বিসিবির নতুন বিকল্প পরিকল্পনা


খেলার রিপোর্টার

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতের আয়োজনে বসবে এসিসি এশিয়া কাপের আসর। কিন্তু এই আসর নিয়ে আগাম টেনশনে পেেছ বিসিবি। এই টেনশনের নাম হচ্ছে “এশিয়া কাপের প্রস্তুতি”। 



আপাতত এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নেওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই। এই আসরের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতের আসার কথা থাকলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সফরটি পিছিয়ে দিয়েছে। 



তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সবশেষ সিরিজকেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপের জন্য শেষ ম্যাচ প্রস্তুতি বলা যায়। আগামী দেড় মাস তাহলে কি শুধু অনুশীলন করেই নিজেদের প্রস্তুত করবে বাংলাদেশ? বলার অপেক্ষা রাখে না, এ নিয়ে বসে নেই বিসিবিও। প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিসিবির বিকল্প নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। 



তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে নেদারল্যান্ডস অথবা নেপালের মতো ছোট দলগুলোর সঙ্গে একটি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এর মূল কারণ হলো, এশিয়া কাপের মতো হাই-ভোল্টেজ টুর্নামেন্টে নামার আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভীষণ জরুরি। বিদেশি দলের বিপক্ষে খেলে খেলোয়াড়রা ম্যাচ পরিস্থিতি সামলানোর চাপ এবং বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে ধারণা পাবেন, যা বড় মঞ্চে তাদের পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।’ আসন্ন এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের প্রস্তুতি নিয়ে এবার বেশ ভালোভাবে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। দলের সার্বিক প্রস্তুতি, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুশীলনের ওপর জোর দিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, এশিয়া কাপের মতো মেগা ইভেন্টে নামার আগে টাইগারদের সবদিক থেকে প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর বোর্ড। অন্যদিকে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতির গুরুত্ব নিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, যেকোনো আসরের আগে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নেওয়ার চেয়ে ভালো কিছু আর নেই। যতদূর জানি, বিসিবি এ নিয়ে চেষ্টা করছে। বড় বড় দলগুলো নেই। তাই যাদের পাওয়া যায়, তাদের নিয়ে খেলা উচিত। আর তা না হলে অনুশীলন সাজাতে হবে পরিকল্পিতভাবে। সুযোগ থাকলে যেখানে এশিয়া কাপ হবে, সেখানে কিছুদিন আগে গিয়ে কন্ডিশনটা জেনে-বুঝে নিয়ে অনুশীলন করা।’ বিসিবি সভাপতির কথায় উঠে এসেছে ভারতের সঙ্গে একটি হোম সিরিজের পরিকল্পনার কথা। এশিয়া কাপের আগে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলাটা নিঃসন্দেহে টাইগারদের জন্য সেরা প্রস্তুতি হতো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই সিরিজ ভেস্তে যাওয়ায় নতুন করে প্রতিপক্ষ খুঁজছে বিসিবি। যদি শেষ পর্যন্ত কোনো বিদেশি দল আনা সম্ভব না হয়, তার জন্যও একটি বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি রেখেছে বিসিবি। 



আমিনুল ইসলাম আরও বুলবুল বলেন, ‘এখন থেকে জাতীয় দল যখনই বিদেশে খেলতে যাবে, তার আগে তারা দেশের সেরা সম্ভাব্য দ্বিতীয় দলের সঙ্গে একটি সিরিজ খেলবে। অর্থাৎ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে অথবা ঘরোয়া লীগের সেরা পারফর্মারদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে একাধিক অনুশীলন ম্যাচ খেলবেন। এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আবহ শতভাগ তৈরি করতে না পারলেও, খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফিটনেস এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টে বড় ভূমিকা রাখবে। নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে ক্রিকেটাররা তাদের সেরা ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন এবং বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।’ তবে শুধুমাত্র ম্যাচ অনুশীলনই নয়, এশিয়া কাপের আগে দলের সামগ্রিক প্রস্তুতিতে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে নজর দিচ্ছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি নিবিড় ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। দীর্ঘ টুর্নামেন্টে ফিট থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই ক্যাম্পের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের শারীরিক ধকল সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ কোচ আনা হবে বলেই জানা গেছে। ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি ঘটাতে, বিশেষ করে পাওয়ার হিটিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে একজন বিশেষজ্ঞ কোচ আনার চেষ্টা করছে বিসিবি।



আশা করা হচ্ছে, এশিয়া কাপের আগেই তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই এই পদক্ষেপ দলের ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়াও, খেলোয়াড়দের মানসিক চাপ সামলানোর জন্য একজন মনোবিদ আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। বড় টুর্নামেন্টে মানসিক দৃঢ?তা দলের পারফরম্যান্সে বড় ভূমিকা রাখে। এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানকার উইকেট ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ অনুশীলন সেশনের ব্যবস্থা করা হবে। আরব আমিরাতের উইকেট সাধারণত মন্থর এবং স্পিন সহায়ক হয়, তাই এই কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেওয়াটা দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুশীলন, বিকল্প হিসেবে অভ্যন্তরীণ সিরিজ, ফিটনেস ক্যাম্প, বিশেষজ্ঞ কোচের সাহায্য এবং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো সব দিক বিবেচনায় রেখেই এগোচ্ছে বিসিবি। টাইগাররা যেন এশিয়া কাপের মঞ্চে সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারে, সেটাই এখন সবার প্রত্যাশা।