জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল—মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মাগুরহাটিতে দীর্ঘদিনের জমি-জমার বিরোধ নতুন রূপে উত্থিত হয়। দুপুরে শুরু হওয়া বিরোধ বিকেলের দিকে টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোঁটার সংঘর্ষে পরিণত হয়, যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
দেওড়া গ্রামের দুই ব্যক্তি, দানা মিয়া ও শিপন মিয়া, একই গোষ্ঠীর হলেও জমির সীমা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের সময় পুরো এলাকা যেন এক অগ্নিগর্ভ ভয়াল মঞ্চে পরিণত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন,“মাইরে মাইরে, এত বড় মারামারি আগে কখনও দেখিনি। মাগুরহাটি এক মুহূর্তে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”
সংঘর্ষে অন্তত ২৫–৩০ জন আহত হয়েছেন। দু’জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের দ্রুত ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর এবং বন সংলগ্ন কুঁড়েঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
“উত্তেজনা মূলত পুরনো জমি বিরোধ থেকে উদ্ভূত। সংঘর্ষে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।”
আইনগত দিক থেকে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর একমাত্র উপায় হলো সিভিল কোর্টের মাধ্যমে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। স্থানীয়দের নিজস্বভাবে “বিচার” করার চেষ্টা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
আহতরা বর্তমানে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকা এখন পুলিশি টহল তত্ত্বাবধানে, তবে উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
