জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুধবার বিকেলে একটি রাজনৈতিক দৃঢ়তার দৃশ্যপট ফুটে উঠল—জেলা সিপিবি, জেলা বাংলাদেশ জাসদ ও জেলা বাসদ (মার্ক্সবাদী) যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হলো। এ কর্মসূচি দেশীয় সম্পদ, শ্রমিক অধিকার এবং পুঁজিবাদী শোষণ বিরোধী গণসংগ্রামের সরাসরি প্রকাশ।
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে। জেলা সিপিবির সভাপতি সাজিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা বাংলাদেশ জাসদের প্রভাষক জাফর আহমেদ আকসির সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. জামাল, ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বনিক, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন, জেলা বাংলাদেশ জাসদের সদস্য আবুল বাশার রতন এবং জাতীয় যুবজোটের জেলা আহ্বায়ক ছিদ্দিক আহমেদ নাসির।
প্রতিবাদকারীরা স্পষ্টভাবে দাবি জানাচ্ছেন—চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে ইজারা বন্ধ হোক, এবং লালদিয়া ও পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের ইজারাচুক্তি বাতিল হোক। তাদের বক্তব্যের মূল তাৎপর্য হলো: দেশের শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ থেকে অবৈধ মুনাফা লুটে নেওয়া হচ্ছে, যা পুঁজিবাদী শোষণের নির্মম বাস্তব।
এই মানববন্ধন শুধুমাত্র প্রতিবাদের আয়োজন নয়; এটি শ্রেণিসংঘাতের স্পষ্ট প্রকাশ। পুঁজিপতি শ্রেণি দেশীয় শ্রম ও সম্পদ দখল করে নিজেদের মুনাফা নিশ্চিত করছে, আর সেখানে সংগঠিত শ্রমিক ও সাধারণ জনগণই একমাত্র শক্তি যা এই শোষণকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। বাম সংগঠনগুলো স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে—শ্রমিক ও জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য গণসংগ্রাম অপরিহার্য।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই আন্দোলন প্রমাণ করে, যখন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ সচেতন ও সংগঠিত হয়, পুঁজিবাদী লুটপাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এটি কেবল স্থানীয় প্রতিবাদ নয়; এটি দেশের সম্পদ ও শ্রমিক শক্তির উপর গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার নবযাত্রার সূচনা।
