দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। নাসিরনগরে বিএনপির জনসভায় ৩১ দফা রূপায়ণের প্রত্যয়: গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Tuesday, 18 November 2025

নাসিরনগরে বিএনপির জনসভায় ৩১ দফা রূপায়ণের প্রত্যয়: গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান


জহির শাহ্ , ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এলাকাটি যেন দেশের রাজনৈতিক চিত্রের একটি ছোট ছবি। সোমবার বিকেলে ফান্দাউক ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এখানে আয়োজিত হয় তারেক রহমানের কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের উপর একটি আলোচনা সভা—যা তার ভাষণ, স্টাইল এবং উত্তেজনায় রাজনৈতিক অতীতের অনেক ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।


ফান্দাউকের পুরনো গরুর হাট মাঠে বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম। পরিচালনায় ছিলেন কাজী ইয়ার খান এবং ফয়েজ আনছারি।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ (নাসিরনগর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান। তাঁর আলোচনায় একপাশে ছিল ন্যায়প্রতিষ্ঠার আবেদন, অন্যপাশে ছিল নিপীড়নবিরোধী কঠোর ভাষা, এবং ছিল দেশের সাধারণ মানুষের অনুভূতিপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা।


“বাংলাদেশ এখন ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অবস্থান করছে,” বলেন এম. এ. হান্নান দৃঢ় কণ্ঠে। “যে ক্ষমতাকে একসময় অভেদ্য দুর্গ বলে মনে করা হতো, তা এখন আদালতের সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়ছে। পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়ে—দেশ এক নতুন যুগে পা রেখেছে।”


তিনি আরও যোগ করেন, “জনসাধারণ এখন সচেতন হয়ে উঠেছে। অত্যাচারীর সময় ফুরিয়ে এসেছে। ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক পরিকল্পনা নয়—এটি মুক্তির একটি খসড়া।”


সভায় মূল বক্তা হিসেবে অ্যাডভোকেট আলী আজম চৌধুরী বলেন, “আজ নাসিরনগর দেখিয়ে দিয়েছে যে, গণতন্ত্রের রাস্তা বন্ধ করা যায়, কিন্তু মানুষের ইচ্ছাকে কোনোদিন দমিয়ে রাখা যায় না।” তাঁর কথায় ছিল সংকল্পবদ্ধতা এবং লড়াইয়ের উদ্দীপনা।


সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কথা বলেন সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, আজগর পাঠান, অ্যাডভোকেট আরাফাত উল্লাহ এবং আব্বাস মিয়া। তাঁদের বক্তৃতায় মিলেছে পরিবর্তন, বাধা প্রতিরোধ এবং ন্যায়ের মিশেল। কেউ কথা বললেন নীরব পরিবর্তনের, কেউ আলোচনা করলেন ভবিষ্যতের সংঘর্ষের।


উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একের পর এক কথা বলেন। তাঁদের বার্তায় প্রতিফলিত হয় একটি মাত্র ধারণা—দেশ আবার গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হবে।


হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তিতন ফকির বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ভয়কে পরাজিত করেছে। ভয় কখনো বিজয়ীদের সামনে দাঁড়াতে পারে না।”


সভাস্থলে ছিল উৎসাহী মাহৌল, কিন্তু সঙ্গে ছিল প্রতিরোধের ছোঁয়া—যাতে মিশে ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন।


অনুষ্ঠানের শেষে এম. এ. হান্নান ঘোষণা করেন, “এই সংগ্রাম কেবল ক্ষমতা দখলের নয়, এটি আগামী প্রজন্মের স্বাধীনতার সংগ্রাম। বিএনপির ৩১ দফা হবে সেই স্বাধীনতার মানচিত্র।”


ফান্দাউক মাঠে উপস্থিত জনতার মুখে যেন একই দাবি—পরিবর্তন দরকার, ন্যায়প্রাপ্তি দরকার, গণতন্ত্র দরকার।