জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া — লালদিয়া টার্মিনাল, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও লগিস্টিক কেন্দ্র, বিদেশি কোম্পানির হাতে ইজারা দেওয়ার সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জেলা ছাত্র ইউনিয়ন প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা লালদিয়া বন্দরকে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে সতর্ক করে বলেছেন, জাতীয় সম্পদ নির্বাচিত সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিদেশি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হলে তা আইনগত ও সংবিধানগত বাধা তৈরি করবে। জেলা ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক ওমর ফারুক বলেন,“জাতীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিষয় নয়; এটি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যদি ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রক্রিয়ার মান বজায় না রাখা হয়, তা শুধু অপব্যবহার নয়, ভবিষ্যতে তা আইনি লড়াইয়েরও জন্ম দেবে।”
সমাবেশে বক্তৃতা করেন রিত্তিক রবিদাস, শিহাব হাসান জাকো, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন রেজা, জেলা সিপিবি সভাপতি সাজিদুর রহমান সাজিদ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন, উদীচীর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ ও জেলা সিপিবি সদস্য আসমা খানম। বক্তারা একযোগে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত “বিদেশি সংস্থার স্বার্থ রক্ষার কৌশল” ছাড়া কিছু নয় এবং তা অবিলম্বে পুনঃমূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, দেশের প্রধান বন্দর, শুল্ক ও লগিস্টিক সুবিধাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিদেশি সংস্থার হাতে হস্তান্তর করলে তা দেশীয় আইন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন।
স্থানীয়দের বক্তব্যে উঠে আসে, “এটি শুধু একটি বন্দর নয়, দেশের অর্থনৈতিক রক্তচাপ; দেশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোষ।”
সমাবেশ শেষে পাঠানো বার্তায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে—দেশীয় সম্পদ সংরক্ষণ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে নীতি ও আইন মেনে চলা অপরিহার্য। বিদেশি ইজারা অবিলম্বে পুনঃমূল্যায়ন না হলে আইনগত ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ এড়ানো সম্ভব হবে না।
