জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আজ মাঠে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করেছে সফরকারীরা। আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭২ রান করতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে শন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি করে দলকে এগিয়ে নিয়ে দন পার করে দেন মিক ওয়েলশ। এ দুজনের ৮৯ রানের জুটিতে ২ উইকেটে ১৬১ রান নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে বিরতির থেকে ফেরার পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ওয়েলশকে। শেষ অবদি দলে ফেরা নাইম হাসান ২ উইকেট পকেটে জমা করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরায়। আর শেষে হাসি মুখে হোটেলে ফেরায় স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২৭ ওভার বল করে ৬০ রান দিয়ে পকেটে ভরেছেন ৫টি উইকেট।
এরপরও জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মাথা নত করাতে ব্যর্থ হয় টাইগার বোলাররা। ওয়েলশের সাথে জুটি বাঁধা অভিজ্ঞ ব্যাটার উইলিয়ামস ৬৭ রানে ফেরত যান নাইমের ডেলিভারিতে। আর অধিনায়ক অর্ভিন মাত্র ৫ রানেই জাকিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। টেস্টের প্রথম দিন শেষে অতিথি দলের স্কোর ২২৭/৯।
পুরো দিনের খেলা দেখে মনেই হয়নি এটা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল, মনে হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করছে! মধ্যাহ্নবিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে নিয়ন্ত্রণে ছিলেন ওয়েলশ ও উইলিয়ামস। এ দুজনের জুটিতে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৮৯ রান।
চা বিরতির পর স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে হয় ওয়েলশকে। সকাল থেকেই ক্র্যাম্প হচ্ছিল তার। এ কারণেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। চা বিরতির আগেই নিজের ফিফটি পূরণ করেছিলেন জিম্বাবুয়ের এ ব্যাটার। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে তিনি ১৩১ বলে করেছেন ৫৮ রান। এদিকে ওয়েলশ ফেরার পর ক্রিজে উইলিয়ামস আর অর্ভিন দ্রুত ফেরত গেলে বাংলাদেশ শিবিরে খানিকটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়, স্কোর ৭৮ ওভারে ২০০/৪। উইকেটে তখন শেষ বিকেলে উসলি আর টিগ্রা ব্যাট করছেন। ১৫ রান করা উসলি স্পিনার তাইজুলের বলে জাকিরের হাতে ক্যাচ দিলে আরও চাপ বাড়ে জিম্বাবয়ে শিবিরে।
এই অবস্থা থেকে আরও চাপ বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ভয়ঙ্কর যম দূতের মতো হাজির হলেন, ৬ রান করা মাসাকাদজাকে এলবি’র ফাঁদে ফেলে ফেরালেন আর শূন্য রানে থাকা নাগারাভাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য কররেন, স্কোর ২০৬ রানে ৭ উইকেট! ৮ম জুটি টিকে থাকার লড়াইতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের দুই ফিল্ডার। ৮ রান করা ভিনসেন্টকে মিরাজ আর তাইজুল মিলে রান আউট করলে স্কোর ২১৬/৮। আর শেষ দিকে ৫৮ রান করা মিডল অর্ডারে নামা নিক-কে তাইজুল বোল্ড করলে ৯ম উইকেটের পতন ঘটে। তবে শেষ বিকেলে অলআউট সম্ভব হয়নি, জিম্বাবুয়ের স্কোর ২২৭/৯।