বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ৩১ জন যাত্রী।
জানা গেছে, সোমবার (১৫ মে) সকালে কলকাতার করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসার কিছু সময় পর বাসটির পেছনে থাকা ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ‘লুকিং মিররে’ ধোঁয়া দেখতে পান চালক। এরপরই দ্রুত গাড়ি থামিয়ে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
গাড়ির চালক শঙ্কর মিস্ত্রীর বরাত দিয়ে শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুনের ধোঁয়া যদি টের না পাওয়া যেত, তবে বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা ছিল।
বাসের ইঞ্জিনে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকাতার শ্যামলী পরিবহনের কর্ণধার অবনী কুমার ঘোষ। এই মুহূর্তে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। সেখান থেকে ফোনে সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান অবনী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলকাতা থেকে সৌহার্দ্য পরিবহনের আন্তর্জাতিক ওই বাসটি ২৬ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন ভারতীয় যাত্রী নিয়ে সকাল পৌনে ৭টায় করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু এরপরই হঠাৎ ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা টের পান চালক শঙ্কর মিস্ত্রী। দ্রুত বাস থামিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নিচে নামার অনুরোধ করা হয়।
পরে বাসের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি প্রকৌশলীরা গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর নতুন আরেকটি বাসে তুলে দেয়া হয় যাত্রীদের। ওই বাসটি নিরাপদে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে।
