মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘‘ ওরা বলেন কি- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকী কবরে চলে গেছে, বিলিন হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা যখন চেয়েছিলেন তখন ছিলো এটা ভালো.. সেদিন তো শেখ হাসিনা আপনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনটাই মানবো না।”
শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা উত্তর বিএনপির জনসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে বিএনপি।
গণসমাবেশে ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকে আমাদের পরিস্কার কথা- এদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, নিজের ভোট নিজে দেবার জন্য এবং ভোটের রেজাল্ট ঘরে আনার জন্য তারাও তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন মানবে না।”
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, আমরা সংঘাত চাই না, আমরা কনফোনট্রেশন চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আমরাও মনে করে নির্বাচনই এর একমাত্র উপায়।”
‘‘ সেই নির্বাচন কখনোই আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচন দেখেছি… ২০১৪ সালে দেখেছি….।তাদেরকে আর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। ওই আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে এবার নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমাদের খুব পরিস্কার কথা, আমাদের প্রথম শর্ত আমরা বলেছি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানসহ ৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।”
‘‘ আপনারা সংসদ রাখবেন আর আমরা নির্বাচন করবো-এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এমপিরা এমপি থাকবেন আর এমপি ইলেকশন হবে সেই নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেই কারণে সংসদ আগেই বিলুপ্ত করতে হবে।”
‘ইসির নতুন আইন নিয়ে প্রশ্ন’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই নির্বাচন কমিশন কেমন নির্বাচন করবেন তার প্রমাণ তো আজকের পত্রিকায় দেখলাম যেটা আপনারা একটা নতুন আইন করতে যাচ্ছেন। যে নির্বাচন কমিশন আসলে কোনো নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন না। তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাটা কোথায়?”
‘‘কাকে বুঝাচ্ছেন?বাংলাদেশের সব মানুষকে কি বোকা মনে করেন, বাংলাদেশে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন। আর কতদিন প্রতারণা করবেন। আর পারবেন না।”
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর নেওয়াজ আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, পারভেজ রেজা কানন, রফিক শিকদার, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুব দলের মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ মহানগর উত্তরের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
