দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ - মির্জা ফখরুল - Durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Friday, May 19, 2023

বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ - মির্জা ফখরুল

রাজনীতি প্রতিবেদক :
বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আজকে এই অবস্থা যতই চিল্লা-ছিল্লি করেন, যতই জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকার আর সৌদি আরব, কাতার, চীনে যান- কোনো লাভ হবে নাই। সময় শেষ…। এটাই বাস্তবতা।”

শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা উত্তর বিএনপির জনসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে বিএনপি।

গণসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমি বলতে চাই- এখনোও সময় আছে জনগনের চোখের ভাষা পড়ুন, জনগনকে মুক্তি দেন এবং জনগনের যে দাবি উঠেছে সেই দাবি মেনে নেন।”

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ উপর থেকে নেমে আসুন। এই গণভবন থেকে বের হন, পাইক-পেয়াদা, মোরকেনদাজ, এসএসএফ, সোয়াত এগুলো বাদ দিয়ে এই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখুন তারা কি বলে আপরাদের।”

বলেন, ‘‘ মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষ আর বাঁচতে পারছে না।”
সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ এর সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন অন্যায়ভাবে অন্যায় কোনো কিছু করবেন না যা আমাদের বিরুদ্ধে যাওয়া হবে।”

‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, এই সরকার দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে।এখন দেশের মানুষ যখন চায়, গণতান্ত্রিক বিশ্ব চায় যে, এখানে একটা সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ, অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হোক এবং সেটা তারা জানেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই বলতে চাই, আপনারা দয়া করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না সেখানে আপনারাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।”  
‘আর কিছুদিন কষ্ট করতে হবে।’

জনসমাবেশে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, আর কিছু কষ্ট করতে হবে। এই সরকারকে টেনে না নামালে এরা যাবে না। সেজন্য আমাদেরকে সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ব্যক্তি-সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”
‘‘ ঐক্যবদ্ধ করে দূর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করে ঝড়ের মতো…জনতার উত্তাল তরঙ্গ পরাজিত করতে হবে। আজকের এই সমাবেশ শুধু সভা নয়, এই সভা আপনাদের শপথ নেয়ার সভা। আমাদের জীবনকে বাজি রেখে এই দেশকে মুক্ত করবার জন্য, এই দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য …. আমাদের আজকে একটা যুদ্ধে নেমে পড়তে হবে। সেই যুদ্ধ আমাদের নিজেদের বাঁচানোর যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ জাতিকে বাঁচানোর যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যুদ্ধ। আসুন আমরা সেই শপথ নিয়ে এই আন্দোলনে আরো বেগবান করি এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ডাক দিয়েছেন- ‘ফয়সালা হবে কোন পথ, রাজপথে’, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’... করার জন্য আমরা আজকে রাজপথে ফয়সালা করে এই দানব সরকারকে পরাজিত জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।”

গায়েবী মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগেরে ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। ঢাকা ছাড়াও শুক্রবার দেশের আরো ২৭টি মহানগর-জেলায় এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা ‘নির্দর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই’, ‘জনগন ব্যালট চায়, পুলিশের বুলেট নয়’, ‘ব্যালট চাই, ভোট দেবো’ ইত্যাদি প্লাকার্ড হাতে নিয়ে এই সমাবেশে অংশ নেয়।

‘সরকার মরণ কামড় দিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করে বিদ্যুত-শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই সরকার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। তারা এই শেষ সময়ে টিকে থাকার জন্য মরণ কামড় দিচ্ছে। এই যে মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা- কোন দেশে আমরা বাস করি। হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয়, সেই জামিন নিয়ে নিম্ন আদালত গেলে সেই জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। কোনো ঘটনাই ঘটেনি মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘ এই আন্দোলনের আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছেন। আজকে একটু আগে শুনলাম খুলনায় আমাদের সমাবেশে গুলি হয়েছে। গুলি করে আমাদের জনগনের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। তারা তো অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছেন, ১৫ বছর ধরে ধরে চেষ্টা করছে। ”