জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের দুটি ইউনিয়নকে সরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে বিজয়নগর। রোববার সকাল ১১টা থেকে চান্দুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শত শত মানুষ সড়কে নামেন এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ অবরোধে মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দূর-দূরান্তের হাজারো যাত্রী, অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পথে রওনা দেন।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা অংশ নেন। কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিতে থাকেন—“বিজয়নগর খণ্ডন মানি না, ন্যায়ের লড়াই ছাড়ি না।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়। তবে এর আগেই স্থানীয়রা ব্যাপক আপত্তি জানিয়েছিলেন। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচিও পালন করা হয়।
অবরোধস্থলে দেওয়া বক্তব্যে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, “বিজয়নগরকে খণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে সরিয়ে দিলে শুধু প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না, উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। জনগণের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত অবশ্যই বাতিল করতে হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ বিজয়নগরের ঐতিহ্য, সংহতি ও রাজনৈতিক প্রভাবকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাঁরা দ্রুত গেজেট বাতিল করে ইউনিয়ন দুটিকে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন।