‘‘ জাতিকে তিনি (শেখ হাসিনা) ধারণা দিতে চান যে, এখানে বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই। সেভাবে তিনি এবার সফরটি করেছেন। এই সফর সম্পর্কে তিনি ধারণা দিতে চান যে, এই সফর সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে।” - কথা গুলো বলেছেন বিএরপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘‘ কিন্তু আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে, এই সফরের রেজাল্ট জিরো প্রায়। জাপানের সাথে আগে ঠিক হয়েছিলো কিছু ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে.. সেটা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি গিয়েছিলেন মূলত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্কের ওপর একটা সেমিনারে বক্তব্য রাখতে। যেটা খুব আনলাইকলি যে দেশের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের সেমিনারে গিয়ে বক্তব্য রাখেন…। আর আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো হয়েছে সেটা অত্যন্ত শর্তযুক্ত প্রত্যেকটি এবং কঠিন শর্ত এগুলোর মধ্যে রয়েছে।যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন রাজার তৃতীয় চালর্সের অভিষেক অনুষ্ঠানে। সেখানে স্বাভাবিভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক সরকার প্রধান হিসেবে, রাজার সঙ্গেও দেখা হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক।সেখানেও বিশেষ কোনো অর্জন হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।”
আপনারা ভালো করে জানেন, গত এক দশক ধরে এই বিদ্যুত খাতকে তাদের দুর্ণীতির সর্বোচ্চ খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং বিদ্যুতে তারা পুরোপুরি ইনডেমনিটি দিয়েছেন। এই ইনডেমনিটির কারণে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না, কাউকে চিহিন করা যাবে না যে তারা বিনা টেন্ডারে, বিনা প্রতিযোগিতায় তারা কত টাকা দিয়ে কিনছেন বা কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টে তাদের কিনতে হচ্ছে।”
‘‘ এটা সত্য যে বিদ্যুতখাতে তারা যে দুর্নীতি করেছেন সেটা শুধুমাত্র তাদের লোকজনরা দুর্নীতি করেছেন এবং এখন জনগনের পকেট থেকে সেটা সারচার্জ হিসেবে কেটে নেয়ার সমস্ত কাজগুলো চলছে। ব্যবসায়ীদের সাথে যদি আপনারা কথা বলেন, তারা কত বড় বিপদে রয়েছে। তাদেরকে যে নরম্যাল ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়, সেই ইনকাম ট্যাক্সের পরেও একটা পারটিকুলার লিমিট আছে যদি তার সম্পদ বাড়ে বা তার আয় বাড়ে তার ওপরও তাদেরকে ২০% সারচার্জ দিতে হয়। যেটা এদেশের প্রবৃদ্ধির জন্যে, যেটা এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।”
