জাতীয় প্রতিবেদক :
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বীর সেনানী ভাষাশহীদদের বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে । একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলির নেতৃত্ব দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর ভাষাশহীদদের প্রতি একে একে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান বিচারপতি, সরকারের মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষাসৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন
২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষার জন্য আত্মবলিদানের দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করে বাঙালি জাতি। তবে এই ত্যাগের মহিমা ও স্বীকৃতি কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই; ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষা বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান জন্মের মাত্র সাত মাস পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঢাকা সফর করেন। তিনি হয়তো তখনও ভাবেননি, প্রথম ও শেষ সফরে তিনি এমন কাণ্ড করে বসবেন যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভেঙে নতুন একটি দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।
তাই ২১ ফেব্রয়ারি শুধু ‘শহীদ দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবেই বাঙালি জাতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতি তার স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের বীজ রোপণ করেছিল; এটিই ভাষা আন্দোলনকে জাতির কাছে আরও মহিমান্বিত করে তুলেছে।
.jpg)