দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৭ চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ১২ - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Sunday, 13 August 2023

মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৭ চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ১২


ক্রাইম প্রতিবেদক :
বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের আড়ালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ চিকিৎসকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ রোববার দুপুরে (১৩ আগস্ট) রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী।


মোহাম্মদ আলী জানান, চক্রটি ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শতশত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন সরবরাহ করেছে। এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেছে, যা দেশে বিলাসবহুল জীবন ও বিদেশে পাচার করেছেন চক্রের সদস্যরা।


গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান (৫০), ডা. সোহেলী জামান (৪০), ডা. মোহাম্মদ আবু রায়হান, ডা. জেডএম সালেহীন শোভন (৪৮), ডা. মো. জোবায়দুর রহমান জনি (৩৮), ডা. জিল্লুর হাসান রনি (৩৭), ডা. ইমরুল কায়েস হিমেল (৩২), জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার (৬৮), রওশন আলী হিমু (৪৫), আখতারুজ্জামান তুষার (৪৩), জহির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি (৪৫) ও আব্দুল কুদ্দুস সরকার (৬৩)।


অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল ফোন, চারটি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ব্যাংক কার্ড, ভর্তির এডমিট কার্ড নগদ দুই লাখ ১১ হাজার, থাইল্যান্ডের মূদ্রা ১৫ হাজার ১০০ বাথ উদ্ধার জব্দ করা হয়েছে।


মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই চক্র নানা কায়দায় প্রশ্নফাঁস শিক্ষাখাতের ক্যানসার হিসেবে বিবেচিত। এসব প্রশ্ন ফাঁস চক্রকে নির্মূল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ।’


মোহাম্মদ আলী জানান, ‘এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০১৮ সালে মামলা হয়। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, চক্রটির অন্তত ৮০ সদস্য প্রায় ১৬ বছর ধরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে ফাঁস করা প্রশ্ন দিয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে।’


সিআইডি জানায়, এই ঘটনায় জড়িতদের ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। গ্রেপ্তারকৃত ১২ জনের মধ্যে সাতজনই ডাক্তার। এদের প্রায় সবাই বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্ন ফাঁস করতেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন তাদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে, যারা প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। ইতোমেধ্যে অনেকে পাশ করে ডাক্তারও হয়ে গেছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।