ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাছারডাঙ্গী গ্রামে সেফটি ট্যাংকি থেকে রাবেয়া বেগম (৩৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সদরপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তাকে হত্যার পর লাশ সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে স্বামী পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত রাবেয়া পিঁয়াজখালী বাছারডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছারের বড় মেয়ে।
৯ বছর আগে পার্শ্ববর্তী শিবচর থানার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারীর পুত্র হাবলু বেপারীর (৪৫) সাথে তার বিয়ে হয়। রাবেয়া স্বামীকে নিয়ে পিঁয়াজখালীতে বাবার বাড়িতে বসবাস করতো।
রাবেয়ার মা হাসিনা বেগম জানান, গত শুক্রবার হতে রাবেয়া নিখোঁজ ছিলো। শনিবার দুপুরে রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রবিবার দুপুরে তিনি বাড়ির গোয়ালঘরের পেছনে গেলে টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে রাবেয়ার দুই পা দেখতে পান। এসময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া।
জানা গেছে, রাবেয়ার প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে হাবলু বেপারীর সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। হাবলু বেপারী পিঁয়াজখালী বাজারে ফার্নিচারের দোকানে রঙের কাজ করেন। আর রাবেয়া সদরপুরের নয়রশিতে একটি এনজিওর মাঠ কর্মীর কাজ করতো। তাদের সংসারে ২ মেয়ে রয়েছে। আর রাবেয়ার আগের ঘরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন আল রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রাবেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুরের মর্গে পাঠায়। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বামী হাবুল বেপারী পলাতক রয়েছে।
