দূরন্ত বিডি ডটকম -----------স্বাগতম ২০২৫------------মানবতার কথা বলে ---------- durontobd.com--------ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই, “জুলাই” মনে রেখে ভোটের নিশ্চয়তা চাই, অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। নবীনগরে সরকারি সার ছিনতাই: জাহাজ উদ্ধার, মূল হোতা এখনও অধরা - durontobd

সংবাদ শিরোনাম

.jpg

Wednesday, 12 November 2025

নবীনগরে সরকারি সার ছিনতাই: জাহাজ উদ্ধার, মূল হোতা এখনও অধরা


জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নবীনগরের নোয়াগাঁও এলাকায় নৌ পুলিশের অভিযানে সরকারি ডিএপি সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ জব্দ করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সরকারি সার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজ ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।


প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর রায়পুরা থেকে সুনামগঞ্জের সরকারি গুদামের উদ্দেশ্যে যাওয়া জাহাজটি গতকালে ছিনতাই করা হয়। ছিনতাইকারীরা জাহাজের নাবিকদের বাঁধা অবস্থায় নদীর তীরে ফেলে, জাহাজটি নিয়ে যায় অন্যত্র। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, জাহাজটি নোয়াগাঁও এলাকায় আছে।


১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় নৌ পুলিশ হঠাৎ অভিযান চালিয়ে জাহাজ থেকে আনলোড করা অবস্থায় প্রায় ১,৪০০ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার করে। জাহাজে মোট ছিল ৬,৩৪০ বস্তা। উদ্ধার হওয়া সারের মধ্যে ৫০০ বস্তা শিবনগরের সানাউল্লাহর বাড়িতে এবং ৪০০ বস্তা নোয়াগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ বোরহান উদ্দিন সরদারের গোডাউনে পাওয়া গেছে। উদ্ধারকালে জাহাজও জব্দ করা হয়।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর থেকে প্রতিদিনই কার্গো থেকে সার নামানো হচ্ছিল। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকজন তৎপর ছিল। বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি, সানাউল্লাহ প্রথমে কথা বলতে অনিচ্ছুক ছিলেন, পরে বলেছেন বোরহান উদ্দিনের অনুমতিতে সারগুলো আনা হয়েছিল।


স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, নোয়াগাঁওয়ের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। তবে এখন পর্যন্ত আইনি পদক্ষেপ হয়নি। মানুষ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, প্রভাবের কারণে ঘটনা গোপনভাবে সমাধান হতে পারে।


পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। এক সিনিয়র কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বলেন, “আমরা প্রতিটি আলামত যাচাই করে আসল হোতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।” প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদেরও বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


স্থানীয়রা বলছেন—সরকারি সম্পদ লুটের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।