জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে একটি রেস্টুরেন্টে সংঘটিত গুলির ঘটনায় গুরুতর আহত হোটেল কর্মচারী ইয়াসিন (২০) আজ ভোরে ঢাকার কাঁটাবন এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইজনে।
ঘটনাটি ঘটেছে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে। প্রথমে ৩৮ বছর বয়সী শিপন ওই ঘটনায় নিহত হন। একই ঘটনায় ইয়াসিন ও নূর আলম আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপনের মৃত্যু ঘটে, আর আজ সকালে ইয়াসিনও মারা যান।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা গোষ্ঠীগত বিবাদ নয়। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, আহতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে পূর্বে কিছু বিরোধ থাকলেও পুলিশ সব তথ্য যাচাই করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করছে।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, “ঘটনাটিকে আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। আহত অন্য ব্যক্তি বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং আমরা চাই সব ধরনের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকুক। সবাই আইন মেনে চলুক।”
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এলাকা জুড়ে টহল জোরদার করেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে শান্তিপূর্ণ আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। পুলিশ ও কমিউনিটি একযোগে কাজ করছে যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও দুঃখের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের সহযোগিতা ও সতর্কতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে আগ্রহী।
