জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বিজয়নগর-আখাউড়া) আসন থেকে লড়বেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আনুষ্ঠানিক পরিচিতি এবং সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় এই ঘোষণা আসে।
দলটি এবার ৯১ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে সাকির অংশগ্রহণকে রাজনৈতিক অঙ্গন দেখছে একটি প্রতীকী চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
সাকি বলেন, “আমরা এমন এক রাজনীতি চাই, যেখানে ক্ষমতা যাবে মানুষের হাতে। গণসংহতি আন্দোলন রাজনীতিকে অভিজাতদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে চায়।”
গত ২ নভেম্বর গঠিত নতুন কমিটিতে ৫৫ জন সদস্য রয়েছেন। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবুল হাসান রুবেল।
সাকি জানান, “প্রগতিশীল ও উদার গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা চলছে। আমরা চাই এমন একটি জোট, যেটি ক্ষমতায় নয়—গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে, যাতে দেশে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে ওঠে।”
নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে সাকি বলেন, “এটি ভোটাধিকার সীমিত করার একটি কৌশল। সাধারণ মানুষের প্রার্থী হওয়া আরও কঠিন হয়ে গেল। জোটের প্রতীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে সাকির অংশগ্রহণ শুধু একটি নির্বাচনী পদক্ষেপ নয়, বরং একটি “রাজনৈতিক বার্তা” — যেখানে পরিবর্তনের আহ্বান ও বিকল্প রাজনীতির স্বপ্ন এক হয়ে গেছে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের নির্বাচনী মাঠে এক নতুন প্রগতিশীল স্রোতের সূচনা ঘটল, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিকে নতুন আঙ্গিকে রূপ দিতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
